সিলেটে কোথায় বিড়ালকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়?

সিলেটে কোথায় বিড়ালকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়: বিড়ালের শরীরে বেশ কিছু মারাত্মক রোগ রয়েছে। যা খুব সহজেই মানুষের মধ্যেও সংক্রমিত হতে পারে। তার মধ্যে rabies বা পশুর জলাতঙ্ক মানুষের মধ্যে সংক্রামিত হলে, মানুষ মারাও যেতে পারে। এজন্য আপনার পালিত বিড়াল এবং মানুষ উভয়ের সুরক্ষার জন্য ভ্যাকসিন (Vaccine) নেওয়া খুবই প্রয়োজন।
সিলেটে কোথায় বিড়ালকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়
আমাদের আজকের এই পোস্টটি সাজানো হয়েছে সিলেটে কোথায় বিড়ালকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়? এবং বিড়ালের ভ্যাকসিন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য নিয়ে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নিন, সিলেটে কোথায় বিড়ালকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়? এবং বিড়ালের ভ্যাকসিন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য।

সিলেটে কোথায় বিড়ালের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়?

সিলেটে কোথায় বিড়ালকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়? সাধারণত বিড়াল বা অন্যান্য পশুর ভ্যাকসিন পশু চিকিৎসকের কাছে পাওয়া যায় যে কোনো সময়। বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গায়ই পশু চিকিৎসক রয়েছেন। আপনার আশেপাশের পশু চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করেই আপনার বিড়ালকে ভ্যাকসিন দিতে পারেন। এবং সিলেটের সরকারি হাসপাতালেও পাওয়া যায়।

সরকারি হাসপাতালের মধ্যে সিলেটের জেলা সদর হাসপাতাল হিসেবে শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধক টিকা পাওয়া যায় সবসময়। অন্যান্য সরকারি হাসপাতালগুলো বিড়ালের ভ্যাকসিন (Vaccine) পাওয়া না গেলেও পশু চিকিৎসকের কাছে যেকোনো সময় পাওয়া যায় বিড়ালের ভ্যাকসিন।

এছাড়া সিলেট পেট কেয়ারে পেয়ে যাবেন আপনার বিড়ালের ভ্যাকসিন। তাদের যোগাযোগ নাম্বার: ০১৭৭৬-২১৪৩৭৩।

বিড়ালের ভ্যাকসিন কেন এবং কখন দিতে হবে?

বিড়াল যাতে মারাত্মক রোগ থেকে রক্ষা পায় মূলত সেই জন্যই বিড়ালের ভ্যাকসিন দেওয়া। বিড়ালকে মারাত্মক এই রোগগুলো থেকে রক্ষা করতে ছোটবেলা থেকেই নিয়মিত ভ্যাকসিন (Vaccine) দেওয়া উচিত। নিয়মিত ভ্যাকসিন দেওয়ার ফলে বিড়ালের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়, তাদের সংক্রমিত হওয়া থেকে বাঁচায়।

সিলেটে কোথায় বিড়ালকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয় এই বিষয় সংক্রান্ত পোস্টে এবারে রয়েছে বিড়ালের ভ্যাকসিন (Vaccine) কেন দিতে হয় এবং কখন কখন বিড়ালকে ভ্যাকসিন দিতে হয়। বিড়ালের মারাত্মক রোগগুলোর মধ্যে কিছু রোগ হচ্ছে,
  • র‍্যাবিস - বিড়ালের এটি একটি ভাইরাল সংক্রমণ রোগ যা মানুষের মধ্যেও মারাত্মক হতে পারে।
  • প্যারাসিটোমোসিস - বিড়ালের জন্য এটি একটি পরজীবী সংক্রমণ যা রক্তস্বল্পতা এবং মৃত্যুরও কারণ হতে পারে।
  • ভ্যাক্সিনিয়া - এই রোগটি ভাইরাল সংক্রমণ যা শরীরে ফোস্কা এবং চুলকানির সৃষ্টি করে।
  • হেপাটাইটিস - এই রোগটি ভাইরাল সংক্রমণ যা লিভারের ক্ষতি করতে পারে।
  • ক্লামাইডিয়া - এটি মূলত ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ যা প্রজনন সমস্যার কারণ হতে পারে।

বিড়ালের ভ্যাকসিনের দাম ও ভ্যাকসিনের মূল্য তালিকা

বিড়ালকে ভ্যাকসিন (Vaccine) দেওয়ার ফলে বিড়ালের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। যা তাদেরকে সংক্রমিত হওয়া থেকে সহজেই রক্ষা করে। বিড়ালের ভ্যাকসিনগুলো সাধারণত ইনজেকশন আকারে দেওয়া হয়।

বিড়ালকে ভ্যাকসিন দেওয়ার পর এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো হালকা ওবং৷ স্বল্পস্থায়ী হয়। এবং অবশ্যই আপনার বাসার পোষ্য বিড়ালের ভ্যাকসিন দেওয়ার পূর্বে আপনার আশেপাশের পশু চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে নেওয়া ভালো।

বিড়ালদের বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ করার জন্য অনেক ধরনের ভ্যাকসিন (Vaccine) দেওয়া হয়। আমাদের দেশে বর্তমানে ৪টি ভ্যাকসিন বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আমাদের পোস্টের মূল বিষয় ছিল সিলেটে কোথায় বিড়ালকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়? এবার জেনে নিন, বিড়ালের ভ্যাকসিনের দাম ও মূল্য তালিকা। বিড়ালের ভ্যাকসিন (Vaccine) হিসেবে ব্যবহৃত ভ্যাকসিনগুলোর নাম এবং দাম হচ্ছে,
  • Rabisin: 300-500 tk
  • Quadricat: 1000-1500 tk
  • Nobivac: 1000-1500 tk

বিড়ালের ভ্যাকসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

বিড়ালের ভ্যাকসিনের (Vaccine) পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো সামান্য এবং স্বল্পস্থায়ী। গুরুতর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও লক্ষ্য করতে পারেন, তবে ভয়ের কিছু নেই। সেবা ও চিকিৎসার মাধ্যমেই তা সেরে যাবে।

জ্বর- ভ্যাকসিন দেওয়ার পর সামান্য জ্বর হতে পারে এবং কিছু দুর্বলতাও থাকবে। তবে তা কয়েক ঘণ্টা পরই ঠিক হয়ে যাবে।

ইনজেকশন- ইনজেকশন দেওয়ার পর এই সাইটে ব্যথা ও লাল-ভাব হতে পারে। সামান্য ফোলাও থাকতে পারে তা কয়েকদিন গেলেই ঠিক হয়ে যাবে।

বমি,ডায়রিয়া- ইনজেকশন দেওয়ার পর কয়েক ঘণ্টা কিছু খেতে চাইতে না পারে বমি বমি ভাব হতে পারে এটা স্বাভাবিক। তবে ১,২ দিন এ রকম হয়ে গেলে অবশ্যই পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

অ্যানাফিল্যাক্সিন- এটি গুরুতর একটি প্রতিক্রিয়া। এটির জন্য শ্বাসকষ্ট, ত্বকের ফোলা ভাব বিশেষ করে মুখ ও গলায়। দ্রুত হার্টবিট, মাথা ঘোরানো এমনি মৃত্যুর কারন হতে পারে। এই সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই আপনার নিকটস্থ পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

যেসব প্রাণী থেকে জলাতঙ্ক জীবাণু চড়ায়

শুধু যে পোষা প্রাণী বিড়াল থেকেই জলাতঙ্ক রোগ ছড়ায় তা কিন্তু নয়। অন্যান্য আরও অনেক পশু থেকেই জলাতঙ্ক রোগ ছড়াতে পারে। তাই আমাদের উচিত আমাদের গৃহপালিত পশুদের নিয়মিত ভ্যাকসিন (Vaccine) প্রদান করা।

তাহলে বিভিন্ন মারাত্মক রোগ থেকে যেমন গৃহপালিত পশু রক্ষা পাবে তেমনি মানুষও নিরাপদে থাকবে। সিলেটে কোথায় বিড়ালকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয় এই পোস্টে এবারে থাকছে অন্যান্য কোন প্রাণী থেকে জলাতঙ্ক জীবাণু চড়ায়, সে সকল প্রাণীর নাম।
  • গৃহপালিত পশু - বিড়াল, কুকুর।
  • গৃহ-পরিবেষ্টিত - মহিষ, গরু, ছাগল, গাধা, ভেড়া, ঘোড়া, উট।
  • বন্য - বানর, বাদুড়, শেয়াল, কাঠবিড়ালি, ইঁদুর, নেকড়ে, বেজি, চিকা, খরগোশ, বন বিড়াল।
  • জীবাণু সংস্পর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা
পশুটি যদি শুধু আপনাকে স্পর্শ করে বা অক্ষত চামড়ায় লেহন করে, তাহলে তেমন কিছু করতে হবে না। আর যদি শরীরে আঁচড় লেগে যায়, রক্তপাতহীন ভাবে ছুলে গেলে চামড়ার যত্ন নিতে হবে এবং টিকা দিতে হবে। এবং চামড়া ভেদ করে যদি কামড় বা আঁচড় পৌঁছে যায়।

অথবা মুখ মণ্ডল অথবা পিঠে মেরুদণ্ডের কাছাকাছি আঁচড় দেয় ও রক্তখেকো বাদুড়ের আঁচড় তাহলে অবশ্যই চামড়ার যত্ন নিতে হবে, টিকা দিতে হবে এবং ইমিউনোগ্লোবিন ইনজেকশন ও নেওয়া লাগবে। পশুর গুরুতর আঁচড় পেলে এটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সর্বশেষ

বিড়াল সাধারণত আমাদের সবারই খুবই পছন্দের একটি পোষা প্রাণী। এই পোষা প্রাণীটিকে শুধু আদর করলেই হবে না।, করতে হবে নিয়মিত যত্ন এবং নিয়মানুযায়ী নিয়মিত টিকা প্রদান। নিয়মিত ভ্যাকসিন (Vaccine) প্রদান করলে যেমন বিড়াল সুস্থ ও সুন্দর থাকবে তেমনি আপনিও থাকবেন সুস্থ ও নিশ্চিত।

আমাদের আজকের সিলেটে কোথায় বিড়ালকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়? এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাকে জানাতে চেষ্টা করেছি বিড়ালের ভ্যাকসিন (Vaccine) সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য। আশা করি কিছুটা হলেও আপনি উপকৃত হয়েছেন।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপরে এই পোস্টটি আপনার বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করে দিন যাতে তারাও জানতে পারে। এতক্ষণ আমাদের পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

বিড়ালের ভ্যাকসিন সংক্রান্ত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর / FAQ

প্রশ্ন: জলাতঙ্ক ভ্যাকসিনের দাম কত?

উত্তর:- নোভার্টিসের টিকার এক ডোজের দাম ৬৫০ টাকা। ইনসেপ্টা কোম্পানির এক ডোজের দাম ৫০০ টাকা। অন্যান্য কোম্পানিগুলোও একই দামে ভ্যাকসিন বাজারজাত করে। সময়ে পরিবর্তে দাম কিছুটা কমবেশি হতে পারে। জলাতঙ্ক কোনো প্রাণী কামড়ালে এই টিকার মোট ৫ ডোজ দিতে হয়।

প্রশ্ন: কুকুরের ভ্যাকসিন কখন দিতে হয়?

উত্তর:- পশু আক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে অন্তত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টিকা দেওয়া উচিত। দুই বাহুতে ২টি টিকা এবং ০,৩ ও ৭ম দিনে টিকা দেওয়া।

প্রশ্ন: বিড়াল কামড় দিলে কি ভ্যাকসিন দিতে হবে?

উত্তর:- বিড়ালের কামড়ের অবস্থান যদি মুখে, ঘাড়ে, মাথায়, হাতে হয় এবং বিড়াল যদি জলাতঙ্ক আক্রান্ত হয় বা জলাতঙ্ক হিসেবে সন্দেহ করা হয়। তাহলে অবশ্যই তাকে অ্যান্টি র‍্যাবিস ভ্যাকসিনের পাশাপাশি ইমিউনোগ্লোবিউলিন টিকাও নিতে হবে। মোট ৫ ডোজ নিতে হবে মাংসপেশিতে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সৌমিক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url