ভিটামিন ই ক্যাপসুল চুলের যত্নে কিভাবে ব্যবহার করবেন
ভূমিকা
ভিটামিন ই ক্যাপসুল চুলের ভালো বৃদ্ধিতে সহায়ক,পাশাপাশি চুল ঝড়ে পড়া থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। এমনকি চুল পড়া নিয়ন্ত্রণেও এটি কার্যকরী। জেনে নিন, কিভাবে আপনার চুলে ভিটামিন-ই ক্যাপসুল চুলের যত্নে কিভাবে ব্যবহার করবেন।
অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন ই চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুল পাকা রোধ করে। ভিটামিন ই চুলের আগা ফাটা রোধেও বেশ কার্যকর। চুলের যত্নে যেভাবে ব্যবহার করবেন ভিটামিন ই ক্যাপসুল তা নিয়েই আজকের আলোচনা।
আমাদের ভিটামিন ই-অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপকারী একটি উপাদান। এটি চুলের জেল্লা ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই নানা হেয়ার প্রোডাক্টে ব্যবহার করা হয় ভিটামিন ই। কিন্তু আপনি চাইলে ঘরোয়া রূপটানেও এই ভিটামিন ব্যবহার করতে পারেন। বাড়িতে চুলে কিভাবে ভিটামিন ই ব্যবহার করবেন এবং এর থেকে কি কি উপকার পাবেন।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল কিভাবে ব্যবহার করবেন
দুইটি পদ্ধতিতে ব্যবহার করতে পারেন–
- ১) ভিটামিন ই হেয়ার মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করুন। একটি পাত্রে পরিমাণ মতো অ্যালোভেরা জেল নিন। একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুলের নির্যাস বের করে নিন। আপনার চুল লম্বা এবং ঘন হলে দুটি ক্যাপসুলও ব্যবহার করতে পারেন। দুটি উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে আপনার স্ক্যাল্পে এবং চুলে লাগিয়ে নিন। ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
- ২) ভিটামিন ই আমন্ড অয়েল বা নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করুন। কি করতে হবে? একটি পাত্রে পরিমাণ মতো কেরিয়ার অয়েল নিন। আপনি নারকেল তেল বা আমন্ড অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। তার সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের নির্যাস মেশান। সেই তেল আপনার মাথায় লাগিয়ে নিন। স্ক্যাল্পে ভালো করে মালিশ করুন। ৩০ মিনিট পরে শ্যাম্পু করে নিন।
স্ক্যাল্পে কোনও সমস্যা থাকলে বা চুলের কোনও চিকিৎসা চললে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও তেল ব্যবহার করা উচিত নয়।
বিউটি ওয়ার্লডে ভিটামিন ই এর জনপ্রিয়তার কারণ কি
এই ভিটামিন ই তার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণের জন্যে বেশ জনপ্রিয়। এটি ফ্রি-ব়্যাডিকালসের বিরুদ্ধে লড়াই করে। ফলে, স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে কোষের দেখভালেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। এই কারণেই নানা বিউটি কোম্পানি তাদের প্রোডাক্টে ভিটামিন ই ব্যবহার করে থাকেন।
হেলথ লাইন জানাচ্ছে, প্রায় ১৯৫০ সাল থেকে ডার্মাটোলজিতে ভিটামিন ই ব্যবহার হয়ে আসছে। স্কিন এজিং, প্রদাহ এবং রোদর ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে ভিটামিনটি। ফ্যাটে দ্রবীভূত এই অ্য়ান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের যত্নেও যেমন ব্যবহার করা হয়, একইসঙ্গে চুল ভালো রাখতেও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
গত কয়েক বছরে ফ্রিজি, ড্যামেজ চুলকে আবার সুন্দর করে তুলতে ব্যবহার করা হচ্ছে ভিটামিন ই। নানা হেয়ার প্রোডাক্টেও এই ভিটামিন-এর ব্যবহার অনেক বেড়ে গেছে।
চুলের পরিচর্যায় কিভাবে ব্যবহার করবেন ভিটামিন ই ক্যাপসুল
ভিটামিন ই ক্যাপসুল চুলের যত্নে কিভাবে ব্যবহার করবেন - দিনের বেলায় প্রখর তাপদাহ, ধুলোয় ঘোরাঘুরি করার পর ত্বকের যেমন যত্ন প্রয়োজন, তেমনই পরিচর্যা চাই চুলেরও। দূষণের জেরে চুল রুক্ষ হয়ে যায়, জেল্লা হারিয়ে যায়, চুল পড়ার সমস্যাও বাড়ে। বার বার পার্লারে গিয়ে চুলের পরিচর্যা করাও সম্ভব নয়। তাই বাড়িতেই নিতে হবে চুলের যত্ন।
ভিটামিন ই ক্যাপসুলেই হতে পারে চুলের নানা সমস্যার সমাধান। চুল পড়া, খুসকি কিংবা পাকা চুলের সমস্যা— ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করলেই আপনি পাবেন সফলতা।
১) ভিটামিন ই ক্যাপসুল ও অ্যালোভেরা জেল
যেকোনো একটি পাত্রে ৭-৮ ভিটামিন ই ক্যাপসুল কেটে তার থেকে তেল বার করে নিন। সেই তেলের সঙ্গে দু’ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল ভাল করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি চুল ও মাথার তালুতে লাগান। কিছু ক্ষণ আপনার আঙুল দিয়ে আলতো ভাবে মালিশ করুন। মাস্কটি ৩০-৪০ মিনিটের জন্য রেখে দিন এবং তার পরে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে দু’বার ব্যবহার করা যেতে পারে প্যাকটি। চুলের গোঁড়া মজবুত হবে এবং চুল পড়া বন্ধ হবে।
২) ভিটামিন ই ক্যাপসুল ,ডিম এবং বাদাম তেলের সাথে
ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর সাথে একটি ডিম ভেঙে একটি পাত্রে রাখুন। চারটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল থেকে তেল বার করে ডিমের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এক চা চামচ বাদাম তেল নিয়ে মিশ্রণটির সঙ্গে ভাল করে মিশিয়ে নিন। মাথার ত্বক থেকে শুরু করে সারা চুলে এই মাস্কটি লাগান। এক ঘণ্টা রেখে দিন। এর পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে এক থেকে দু’বার এটি ব্যবহার করতে পারবেন। এর থেকে বেশীও ব্যবহার করতে পারেন।
৩) ভিটামিন ই ক্যাপসুল দই এবং মধুর সাথে
বিয়ের সাথে একটি পাত্রে অর্ধেক কাপ দই ও দু’ চামচ মধু নিয়ে নিন। চারটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল থেকে তেল বার করে দইয়ের মিশ্রণের সঙ্গে ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে চুলে লাগান। আধ ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে দু’দিন এটি ব্যবহার করলে খুশকির সমস্যা দূর হবে। চুলের জেল্লাও ফিরে পাবেন আপনি।
চুলের জন্য কোন ভিটামিন ক্যাপসুল ভালো
ভিটামিন ই ক্যাপসুল অনেক উপকারী ক্যাপসুল। ভিটামিন ই একটি স্বাস্থ্যকর প্রোডাক্ট, মাথার ত্বক এবং চুলকে সহায়তা করতে পারে কারণ এতে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের প্রভাব রয়েছে যা চুলের বৃদ্ধি বজায় রাখতে সহায়তা করতে পারে।
ভিটামিনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যগুলি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং ফ্রি র্যাডিক্যালের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করতে পারে যা একজন ব্যক্তির মাথার ত্বকের চুলের ফলিকল কোষগুলিকে ভেঙে দেয়। ফলে চুল পড়া বন্ধ হয়।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ভিন্ন পাঁচ ব্যবহার
হাত- পায়ের নখের যত্নেঃ আমরা হাত দিয়ে সারাদিন কত কাজই না করে থাকি। আর প্রায় সব কাজই হাতের নখের ওপর কিছু না কিছু প্রভাব রেখে যায়। বিশেষ করে রান্নার বিভিন্ন কাজ, থালা-বাসন ও কাপড় ধোয়া, বাগান পরিচর্যা ইত্যাদি কাজে নখের ওপর যথেষ্ট ধকল যায়। তাই নখের পর্যাপ্ত যত্ন নেওয়াটাও জরুরি। অন্যথায় তা হলুদ হয়ে যেতে পারে, ভেঙে যেতে পারে। আর সেই কাজের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল আদর্শ এবং উপকারী।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল খুলে তার ভেতরের তেল নখ ও এর চারপাশে ভালোভাবে মাখাতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে কাজটি করা ভালো। এতে সারারাত আপনার নখ ‘ময়েশ্চার’ পাবে এবং এটা নখের জন্য খুব উপকারী।
ভিটামিন ই ওভারনাইট ক্রিমঃ ভিটামিন এর মধ্যে ভিটামিন ই ক্যাপসুল তার ‘ময়েশ্চারাইজিং’ গুণের জন্য বেশ সমাদৃত। তাই ওভারনাইট ক্রিম হিসেবেও তা বেশ কার্যকর। যে ওভারনাইট ক্রিম বর্তমানে ব্যবহার করছেন তাতে কয়েক ফোঁটা ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল মিশিয়ে দিলেও উপকার পাবেন। তবে আগে অবশ্যই মুখ ধুয়ে নিতে হবে। তেলটি সেরাম হিসেবে কাজ করবে এবং রাতভর ত্বকে আর্দ্রতা যোগাবে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল অনেক উপকারী। মনে রাখতে হবে রাতে ঘুমানোর কমপক্ষে আধা ঘণ্টা আগে তা ত্বকে প্রয়োগ করতে হবে। এতে ত্বক ই ক্যাপসুলের তেল শোষিত হওয়ার সুযোগ পাবে এবং বালিশে লেগে যাবে না।
আপনার চুলের যত্নেঃ ভিটামিন ই ক্যাপসুল চুলের যত্নে কিভাবে ব্যবহার করবেন - প্রথমত ভিটামিন ই ক্যাপসুল চুল পড়া কমায়। ভিটামিন ই ক্যাপসুল চুল পড়া রুখতে এবং নতুন চুল গজাতে অত্যন্ত উপকারী। সাধারণত চুলে যে তেল ব্যবহার করেন তাতেই মিশিয়ে নিতে হবে ক্যাপসুলে থাকা তেল। এবার তা চুল ও মাথার ত্বকের প্রয়োগ করে দুতিন ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে, কুসুম গরম পানি ব্যবহার করলে বেশি ভালো। সপ্তাহে দুদিন এই তেল ব্যবহার করা উচিত। আর সুফল চোখের পড়বে দু-তিনবার ব্যবহারেই। এটা আমাদের চুলের জন্য ফুল কার্যকরী।
বলিরেখা দূর করতেঃ ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বকের বিভিন্ন বলিরেখা, কুঁচকে যাওয়া ত্বক ও অন্যান্য দাগ দূর করতে সহায়তা করে। ‘অ্যান্টি-এইজিং’ ক্রিম হিসেবেও এটি ব্যবহারযোগ্য। প্রচুর ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে এতে যা ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। ত্বকে ভিটামিন ই তেল মালিশ করলে ত্বকের গঠন স্বাস্থ্যকর হয়, উজ্জ্বলতা বাড়বে এবং ত্বক সুন্দর হয়।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল রোদেপোড়া ঠেকাতেঃ অল্পতেই যাদের ত্বক রোদে পুড়ে যায় তাদের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল অত্যন্ত জরুরি। এর ‘ময়েশ্চারাইজিং’ গুণ ত্বকের শুষ্কতা দূর করার মাধ্যমে রোদেপোড়া থেকে সুরক্ষা দেয়। রোদেপোড়ার কারণে ত্বকে জ্বালাপোড়া বা চুলকানি হলে ‘কুলিং ক্রিম’য়ের সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাবেন।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর অপকারিতা
ভিটামিন এই সবার জন্য অনেক উপকারী। ভিটামিন ই ত্বকের জন্য স্বাস্থ্যকর হলেও মনে রাখা জরুরি, সরাসরি ত্বকে লাগালে কারও কারও ক্ষতি হতে পারে। যাদের ত্বক খুব সংবেদনশীল ভিটামিন ই-র সরাসরি ব্যবহার, তাদের ত্বকে প্রদাহের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
ত্বক ভাল রাখতে সরাসরি ভিটামিন ই ব্যবহার না করে, বরং দই, মধু, লেবুর রসের মিশ্রণ মুখে লাগাতে পারেন। এতে ত্বক উজ্জ্বল হবে। ব্রণ বা ত্বকের অন্যান্য দাগছোপ কমাতে পাকা পেঁপের সঙ্গে মধু, লেবুর রস এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুলের নির্যাস মিশিয়ে মুখে লাগান। অতিরিক্ত ক্যাপসুল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
শেষ কথা
ভিটামিন ই আমাদের অনেক সমস্যার সমাধান করে থাকে। শরীরের জন্য খুব প্রয়োজনীয় একটি ভিটামিন হলো ‘ই’। এর অভাবে চুল পড়ে যাওয়াসহ পেশি দুর্বল হওয়া, চোখে ঝাপসা দেখা ইত্যাদি সমস্যা হয়ে থাকে।
এসব সমস্যা থেকে রেহাই পেতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ভিটামিন ‘ই’ সমৃদ্ধ খাবার রাখা জরুরি। ভিটামিন ‘ই’-এর অভাব পূরণে সয়াবিন, বাদাম, ব্রকোলি, মাছ, শাক, অ্যাভোক্যাডো ইত্যাদি খেতে পারেন। আশা করছি আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি ভিটামিন ই ক্যাপসুল চুলের যত্নে কিভাবে ব্যবহার করবেন তার সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। চুলকে আকর্ষণীয় ও সুন্দর করে তুলতে অবশ্যই চুলের প্রতি যত্নশীল হন।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল চুলের যত্নে ব্যবহার সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর / FAQ
প্রশ্ন ১: চুলের জন্য কোন ভিটামিন ক্যাপসুল ভালো?
উত্তর:- একটি স্বাস্থ্যকর মাথার ত্বক এবং চুলকে সহায়তা করতে পারে ভিটামিন ই। এতে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রভাব রয়েছে যা চুলকে মজবুত করে এবং চুলের বৃদ্ধি বজায় রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য গুলো অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করতে পারে। যা একজন ব্যক্তির মাথার ত্বকের চুলকে ফলিকল কোষগুলোকে ভেঙে দিতে পারে।
প্রশ্ন ২: নতুন চুল গজানোর উপায় কি?
উত্তর:- নতুন চুল গজানোর জন্য অবশ্যই আপনার শরীরকে পর্যাপ্ত অ্যামিনো এসিড সরবরাহ করতে হবে। মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, পনির আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এগুলোর মধ্যে অত্যন্ত একটি খাবার রাখার চেষ্টা করবেন। মটরশুঁটি, কলা, বাদাম, সয়াবিন ইত্যাদি এগুলো থেকেও পেতে পারেন অনেক পুষ্টিগুণ। তবে নন ভেজিটেরিয়ান খাবারে রয়েছে প্রোটিনের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেশি।
প্রশ্ন ৩: ভিটামিন ই এর কাজ কি?
উত্তর:- ভিটামিন ই একটি পুষ্টি যা দৃষ্টিশক্তি, আপনার রক্ত, প্রজনন, মস্তিষ্ক এবং ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন ই এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ও।
প্রশ্ন ৪: ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি কি ক্ষতি হয়?
উত্তর:- ভিটামিন ই ক্যাপসুল অতিরিক্ত গ্রহণ করলে শরীরে ক্লান্তি বাড়ে, প্রচণ্ড মাথা ব্যথা এবং ত্বকে ফুসকুড়ি হয়। দৃষ্টিশক্তি ঘোলাটে হওয়া এবং প্রচণ্ড পেট ব্যথাও হতে পারে। তাছাড়াও রয়েছে মাথা ঘুরানো ও শ্বাসকষ্ট হওয়ার আশঙ্কা।
প্রশ্ন ৫: ভিটামিন ডি খেলে কি হয়?
উত্তর:- ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট শিশু ও বয়স্কদের দাঁতের ক্ষয় রোধ করে। এটি আপনার দাঁতের মিনারেলের উন্নতি ঘটিয়ে দাঁতের ক্ষয় রোধ করে। শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, পেশির শক্তি বাড়ায় ভিটামিন ডি। শারীরিক ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে ভিটামিন ডি।
প্রশ্ন ৬: চুলের জন্য সবচেয়ে ভালো Evion ক্যাপসুল কোনটি?
উত্তর:- চুলের জন্য Evion 400 ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করেন বা এর রূপগুলি ব্যবহার করেন তাহলে আপনি ধীরে ধীরে আপনার চুলের বৃদ্ধির উন্নতি দেখতে পাবেন। চুলের বৃদ্ধির জন্য ক্যাস্টর অয়েলের সাথে এই ক্যাপসুলগুলো আপনার চুলে ব্যবহার করুন।
সৌমিক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url