সেরা ৮টি চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

চুল সোজা করার ৫টি ঘরোয়া উপায়আমাদের শরীরের নানান সমস্যার মধ্যে অন্যতম একটি বড় সমস্যা হচ্ছে চুল পড়া। চুল পড়া নিয়ে অনেক দ্বিধায় পড়তে হয়। শীত এলেই চুল পড়ার সাথে সাথে বেড়ে যায় চুলের আরও নানান সমস্যা। চুল রুক্ষ হয়ে যায়, খুশকি, চুলের আগা ফেটে যায়, কিছুটা লালচে হয়ে যায়, চুলের এইসব সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে খুব কঠিন কিছু করতে হবেনা।
চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
চুল পড়া বন্ধ করার উপায়, চুলের প্রতি একটু যত্নশীল হলে, খাবারের প্রতি একটু নজর রাখলে, কিছু কাজ এড়িয়ে চললে চুলের এই সমস্যাগুলোর সমাধান পাওয়া যায়। তাহলে আসুন জেনে নেই চুল পড়া বন্ধ করার উপায় সহ চুল সম্পর্কে আরও বিভিন্ন তথ্যের বিস্তারিত।

চুল পড়া বন্ধ করার উপায় 

নারীদের সৌন্দর্যের প্রতীক হচ্ছে চুল। সেই সুন্দর চুল নিয়ে যখন নানান সময় বিভিন্ন সমস্যায় বিপাকে পড়তে হয়। তখন আমরা বুঝে উঠতে পারি না আসলে চুলের এই সমস্যাগুলো কিভাবে সমাধান করব। সেরকমই একটা বিশেষ সমস্যা হচ্ছে চুল পড়া। তো এবার চলুন জেনে নেই চুল পড়া বন্ধ করার কিছু উপায় সম্পর্কে। 

  • ১. রাতে ঘুমানোর আগে চুলের গোঁড়া থেকে আগা পর্যন্ত নারিকেল তেল মাসাজ করুন। সকালে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
  • ২. অ্যালোভেরা জেল ব্লেন্ড করে চুলে ১ ঘণ্টা লাগিয়ে রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি চুল পড়া কমানো ও মাথার ত্বকের চুলকানি দূর করবে।
  • . ডিমের কুসুমের সঙ্গে সামান্য অলিভওয়েল ও লেবুর রস মিশিয়ে চুলে ১ ঘণ্টা লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে। এটি চুল পড়া তো বন্ধ করবে এবং দ্রুত বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
  • . অলিভওয়েল চুলে মাসাজ করে ২০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
  • ৫. পেঁয়াজের রস চুলের গোঁড়ায় ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এর পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • ৬. ডিমের কুসুম ফেটিয়ে মধু মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন। আধা ঘণ্টা পর ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • . কয়েক ধরনের তেল একসঙ্গে মিশিয়ে সপ্তাহে একদিন মাসাজ করুন চুলে। আগে গরম করে নেবেন সামান্য। মাসাজ শেষে গরম তোয়ালে দিয়ে জড়িয়ে নিন চুল। ১৫ মিনিট পর তোয়ালে খুলে অপেক্ষা করুন আরও ১০ মিনিট। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  •  ৮. ২৫০ মিলি সরিষার তেলে ২০টি মেহেদি পাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। ঠাণ্ডা হলে মাসাজ করুন চুলের গোঁড়ায়। ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করুন এই তেল।

চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম

স্কাল্পে যখন পুষ্টি ও স্টিমুলেশনের অভাব হয় তখনই চুল পড়তে শুরু করে। স্কাল্পে সঠিক তেলের মাসাজ আবার নতুন করে চুল গজাতে সাহায্য করে। কারণ এই তেলগুলি স্কাল্প ও চুলের ফলিকলকে স্টিমুলেট করে চুল গজাতে সাহায্য করে।
এছাড়া এই তেলগুলো যেহেতু সুগন্ধযুক্ত হয় সেহেতু মাসাজ করার পর প্রশান্ত লাগে এবং মানসিক চাপও কম হয়। এবার এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক যে এই চারটি এসেনশিয়াল অয়েল কোনগুলো।

রোজমেরি এসেনশিয়াল 

রোজমেরি এসেনশিয়াল অয়েল রক্তনালী প্রসারিত করে এবং কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি করে চুল গজাতে সাহায্য করে। এটি স্কাল্পে অক্সিজেন সরবরাহ করে পুষ্টি যোগায়। এটি চুল ঘন করে। 

প্রস্তুত প্রণালী 

নারকেল তেলের সঙ্গে ৫-৬ ফোঁটা রোজমেরি এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে স্কাল্পে লাগাতে হবে। এটি ১০-১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে।

লেমনগ্রাস অয়েল

লেমনগ্রাস এসেনশিয়াল অয়েল খুশকি কম করতে সাহায্য করে। চুল পড়ার অন্যতম কারণ হল খুশকি। লেমনগ্রাসের সুগন্ধ অত্যন্ত প্রশান্তি-দায়ক এবং এটি ড্রাই স্কাল্পের সমস্যা দূর করে। 

প্রস্তুত প্রণালী 

নিয়মিত যে শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার (প্রাকৃতিক বা জৈব হলে ভালো) ব্যবহার করা হয় তার সঙ্গে ৩-৪ ফোঁটা লেমনগ্রাস এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে।

বার্গামট অয়েল

বার্গামট এসেনশিয়াল অয়েল অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান সম্পন্ন এবং একটি স্বাস্থ্যকর স্কাল্পের জন্য উপযোগী তেল। এটির প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য স্কাল্প ঠাণ্ডা রাখে, ফোঁড়া বা অতিরিক্ত ঘামের মতো সমস্যা কম করে। প্রদাহ বা ইনফ্লেমেশনও চুল পড়ার জন্য দায়ী হতে পারে। 

প্রস্তুত প্রণালী 

নারকেল তেলের সঙ্গে ৩-৪ ফোঁটা বার্গামট মিশিয়ে স্কাল্পে লাগাতে হবে। তার পরে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।

সাইডার উড অয়েল

ভবিষ্যতে চুল পড়া রোধে সাইডার উড তেল ব্যবহার করা হয়! এই অপরিহার্য তেল স্কাল্পে তেল উৎপাদনকারী গ্রন্থিগুলির ভারসাম্য বজায় রাখে, চুলের জন্য দরকারি ব্যাকটেরিয়াকে কাজ করার পরিবেশ তৈরি করে দেয়। এই তেলে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্যও রয়েছে যা খুশকি এবং শুষ্ক এবং ফ্ল্যাকি স্কাল্পের সমস্যা দূর করে। এই তেলটি স্কাল্পের স্বাস্থ্য বজায় রেখে চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। 

প্রস্তুত প্রণালী 

নারকেল বা ক্যাস্টর অয়েলের সঙ্গে ৩ ফোঁটা সাইডারউড এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে স্কাল্পে লাগাতে হবে।

চুল পড়া বন্ধ ও ঘন করার উপায়

বংশানুক্রমিক চুল পড়ার ক্ষেত্রে খুব বেশি কিছু করার থাকে না। অ্যালোপেশিয়া এরিয়াটার মতো অটোইমিউন ডিসঅর্ডার থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ মতো চিকিৎসা করালে চুল পড়া বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা কমে আসতে পারে। থাইরয়েডের সমস্যা থাকলেও চুল পড়ে যায়। সোরিয়াসিস বা ক্রনিক পেট খারাপের সমস্যা থাকলেও চুল পড়তে পারে।
তবে ওপরের সমস্যাগুলো না থাকার পরেও যদি আপনার চুল পড়ে তাহলে এই টিপসগুলো ট্রাই করতে পারেন।

১. নারকেলের দুধ ও তেল

  • নারকেলে আছে ফ্যাট। এটা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। নিয়মিত এই তেল দিয়ে মাসাজ করলে চুল পুষ্টি পাবে এবং চুল পড়া বন্ধ করবে। খুব জোরে ঘষলে বেশি চুল পড়ার আশঙ্কা থাকে। কোরা বা বাটা নারকেল গরম পানিতে ভিজিয়ে দুধ বের করে মাথায় লাগিয়ে আধ ঘণ্টা রাখুন। চুলের স্বাস্থ্য বাড়াতে যে প্রোটিন আর পটাশিয়াম একান্ত প্রয়োজন, তারই জোগান দেবে নারকেলের দুধ। সপ্তাহে এক দিন ব্যবহার করলেই চলবে।

২. অ্যালোভেরা জেল

  • চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন। তারপর অ্যালোভেরার জেল চুলের গায়ে লাগান। তালুতে চক্রাকারে হাত ঘুরিয়ে মালিশ করুন। সপ্তাহে দুইবার করলে চুল পড়া বন্ধ করার জন্য ভালো ফল পাবেন। এর ফলে চুল আর তালুর পিএইচ ব্যালান্সে সমতা ফিরবে। চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

৩. দই, মধু ও লেবুর প্যাক

  • চুলের হারিয়ে যাওয়া আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে এবং ভিটামিন বি ও প্রোটিনের জোগান বাড়াতে দই, লেবু, মধুর প্যাক আদর্শ। সপ্তাহে একবার শ্যাম্পু করার আগে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে চুল ধুয়ে নেবেন।

৪. মেথি

  • সারা রাত মেথি ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে ব্লেন্ডারে পেস্ট করে নিন। প্যাকের মতো এটা সরাসরি চুলে লাগাতে পারেন। দই-মধুর সঙ্গে মিশিয়েও লাগানো সম্ভব। শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে নিন।

৫. নিমপাতার নির্যাস

  • এক লিটার পানিতে ১৫-২০টা নিমপাতা খুব ভালো করে ফুটিয়ে নিন। মিশ্রণটা ঠাণ্ডা করে বোতলে ভরে রেখে দিন। সপ্তাহে অন্তত একবার শ্যাম্পু করার পর এই নিমের পানিতে চুল ধুয়ে নিন। তালুতে ইনফেকশন, খুশকি অথবা অন্য সমস্যা থাকলে নিমের প্রভাবে তা থেকে মুক্তি পাবেন। ফলে চুলের গোরা শক্ত হবে এবং চুল পড়ার হার কমবে।

চিরতরে চুল পড়া বন্ধ করার উপায় 

চুল থাকলে চুল পড়বেই। কিন্তু অনেকেই চুল পড়ার সমস্যায় নাজেহাল। এই সমস্যা চিরতরে দূর করতে পারে ঘরোয়া কিছু উপায়ই। চুল পড়া থেকে মুক্তি পেতে কে না চায়। চুল পড়া বন্ধ বা চুলের যত্ন নিতে অবশ্যই তেল দিতে হবে। তেল থেকেই আমাদের চুল ও স্ক্যাল্প বেশি পুষ্টি পায়। 

চুলের যত্নে বাজার থেকে কেনা তেলের পরিবর্তে, ঘরে তৈরি তেল ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত যত্ন নিলে চিরতরে রোধ করা যাবে চুল পড়া। লাইফ স্টাইল বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ড-স্কাইয়ের প্রতিবেদনে এমন ৬টি উপায়ের কথা বলা হয়েছে।

চুল ঝরে যাওয়া ও অকালে চুল নষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হলে আমলকি ব্যবহার করতে পারেন। এই তেলটি পুরুষ এবং নারী উভয়ের জন্যই উপকারী। আমলকির তেল ব্যবহারে অকালে চুল পেকে যাওয়া এবং চুল পড়া ঠেকানো যায়। এটি চুলের বৃদ্ধি করে, মাথার ত্বককে ঠাণ্ডা করে এবং চুল উজ্জ্বল করে তোলে। 

এর জন্য, 

  • এক কাপ নারকেল তেল এবং বীজ বার করা কয়েকটি আমলকি নিন। আমলকি পিষে নিয়ে একটি পাত্রে রস ছেঁকে নিন। এবার একটি প্যানে নারকেল তেল এবং আমলকির রস ১০-১৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন। দেখবেন ফুটতে ফুটতে মিশ্রণটি বাদামি হয়ে যাবে। তারপর তেলটি একটি পাত্রে ছেঁকে ঠাণ্ডা হতে দিন।

নিম ও তুলসী পাতায় আছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিসেপটিক উপাদান। তারা মাথার ত্বকের নানান সমস্যায় সাহায্য করে এবং চুল পড়া কমায়। প্রাকৃতিক উপাদানগুলোর সাহায্যে তারা একটি মাথার চুলকানি নিরাময় করে এবং খুশকি প্রতিরোধ করে। 

  • এই অয়েলটি তৈরি করতে, তাজা তুলসি পাতা, নিম পাতা এবং মেথি বীজ নিয়ে ভালো করে পিষে নিন। তারপর তাতে পরিমাণ মতো নারকেল তেল মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। ঠাণ্ডা হলে ওই তেল ছেঁকে কাঁচের বয়ামে রেখে ব্যবহার করুন।

ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ করার উপায়, ঔষধ

চুল পড়ার সমস্যা নারী-পুরুষ উভয়েই ভোগেন। তবে পুরুষরা যেহেতু বেশিরভাগ সময়ই ঘরের বাইরে সময় কাটান, তাই তাদের চুল বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়াও নারীরা চুলের যতটা যত্ন নেন, তার একভাগও পুরুষরা করেন না।

চুল পড়ার সমস্যা সমাধানের ভিটামিন ই চুলের গোঁড়ায় ব্যবহার করুন। ভিটামিন ই মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়। ফলে চুলের ফলিকল উৎপাদনশীল থাকে। এছাড়াও ভিটামিন ই চুলের স্বাস্থ্যকর রং বজায় রাখে। 

অনেক সময় খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন হলে বা শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হলে চুল পড়ে। তাই খাদ্যতালিকায় চর্বিযুক্ত, মাংস, মাছ, সয়াসহ প্রোটিন রাখুন। এগুলো চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে ও চুল পড়া বন্ধ করে।

মেয়েদের চুল পড়া বন্ধ করার উপায় 

ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা চুলে অনেক কিছু ব্যবহার করে থাকে। অনেক সময় আমরা অনেক ধরনের তেল বা অনলাইনে যেকোনো প্রোডাক্ট আমাদের চুলে ব্যবহার করে থাকি তার জন্য অনেক সময় চুলের সাইড এফেক্ট দেখা দেয়। 

আপনার চুলের যত্নের রুটিনে অর্গান অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল, অলিভ অয়েল, পেঁয়াজের তেল, নিম তেল, নারকেল তেল এবং বাদাম তেলের মতো প্রাকৃতিক তেলগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে, আপনি কার্যকর ভাবে চুল পড়া প্রতিরোধ করতে পারেন এবং স্বাস্থ্যকর চুলের বৃদ্ধিকে উন্নীত করতে পারেন।

ভার্জিন কোকোনাট অয়েল চুলের জন্য খুবই ভালো। সপ্তাহে এক-দু দিন এই নারকেল তেল অবশ্যই চুলে লাগান। চুলের পুষ্টি জোগাতে খুব ভালো কাজ করে আমন্ড অয়েল। চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে কাজে আসে এই তেল।

শেষ কথা 

আমাদের সবারই মাথায় প্রায় ১০০,০০০ চুল থাকে। তার মধ্যে প্রতিদিন প্রায় ৫০ থেকে ১০০ টা চুল পড়া একেবারে স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু তার থেকে বেশি যখন চুল পড়া শুরু হয়ে যায় তখনই আমাদের দুশ্চিন্তাও শুরু হয়ে যায়। তাই দুশ্চিন্তা না করে পোস্টের এই উপায় গুলো ব্যবহার করে দেখবেন। আশা করা যায় কিছুটা হলেও উপকারে আসবে। 

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি জানতে পারলেন চুল পড়া বন্ধ করার উপায় সহ চুল পড়া নিয়ে আরও বিভিন্ন তথ্য এবং কি করলে স্বাস্থ্যকর চুল পাওয়া যায়। আশা করছি আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি কিছুটা হলেও চুল পড়া বন্ধ করা সম্পর্কে তথ্য জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন।

চুল পড়া বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর / FAQ

প্রশ্ন ১: চুল পড়া বন্ধ করতে কোন ভিটামিন খেতে হবে? 

উত্তর:- চুল পড়া বন্ধ করতে ভিটামিন বি (vitamin B) সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উপকারী। চুলের বিভিন্ন সমস্যা দূর করার জন্য, চুলের স্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিনের খাবারের মধ্যে রাখবেন ভিটামিন বি (vitamin B) সমৃদ্ধ খাবার। এছাড়াও ভিটামিন বি৭ ও ভিটামিন বি১২ চুলের কোষ গঠনে সাহায্য করে এর পাশাপাশি চুল পড়ার সমস্যা ও কমায়। 

প্রশ্ন ২: চুল গজানোর তেলের নাম কি?

উত্তর:- চুল গজানোর জন্য রয়েছে ভালো মানের কয়েকটি তেল,যেমন- ক্যাস্টর অয়েল যা চুলকে ভালো রাখতে খুবই কার্যকরী। নারকেল তেল যা চুলের জন্য খুবই ভালো, বিশেষ করে চুলকে সিল্কি করতে। এবং আরও রয়েছে অলিভ অয়েল, আমন্ড অয়েল এই অয়েল গুলো স্ক্যাল্পে ডাইহাইড্রো- এপি-এনড্রোস্টেরন বাইন্ড হতে দেয় না।

প্রশ্ন ৩: চুলের গোঁড়া শক্ত করার জন্য কি খাবার খেতে হবে? 

উত্তর:- চুলের গোঁড়া শক্ত করার জন্য ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উপকারী। গাজর, গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, যা চুলের গোঁড়া শক্ত করতে খুবই উপকারী। টাটকা সবুজ শাকসবজি ও পরিমিত পানি পান করুন। 

প্রশ্ন ৪: চুল পড়ার কারণ কি? 

উত্তর:- বংশগতি, বার্ধক্য এবং টেস্টোস্টেরন হরমোনের পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত চুল পড়ার বিষয়। তা মহিলাদের তুলনায় অনেক বেশি পুরুষকে প্রভাবিত করে। বয়:সন্ধির পর যেকোন সময় পুরুষের প্যাটার্নের টাক পড়তে পারে। প্রায় ৮০% পুরুষ ৭০ বছর বয়সের মধ্যে পুরুষ প্যাটার্ন টাক হওয়ার লক্ষণ দেখা যায়। অনেক সময় তারও অনেক বছর আগে থেকেই তা প্রতিফলিত হতে দেখা যায়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সৌমিক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url