ময়মনসিংহের দর্শনীয় স্থান সেরা ৮টি জেনে নিন

সেরা ৮টি ময়মনসিংহের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জেনে নিন: বাংলাদেশে অনেক অনেক দর্শনীয় জায়গা রয়েছে। বাংলাদেশের অন্যতম জেলা গুলোর মধ্যে একটি জেলা হচ্ছে ময়মনসিংহ। ময়মনসিংহতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের দর্শনীয় স্থান। আমরা অনেকেই জানিনা যে ময়মনসিংহে ঘুরার মত কি কি জায়গা আছে বা দর্শনীয় স্থানসমূহ আছে কিনা। তবে হ্যাঁ ময়মনসিংহে রয়েছে অনেক দর্শনীয় স্থানসমূহ।
ময়মনসিংহের দর্শনীয় স্থান
বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় দশমীর স্থান রয়েছে। তবে বেশিরভাগ পর্যটকরাই ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বান্দরবান, কক্সবাজার, সিলেট এসব জায়গায় ভীর করে থাকেন। অনেকেই জানেন না এসব জায়গার মতো আরও অন্যান্য জেলায় অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। বান্দরবান কক্সবাজার সিলেটের মত ময়মনসিংহে রয়েছে সুন্দর সুন্দর ও আকর্ষণীয় জায়গা।

অনেকেই একদিনের ট্যুরে যেতে চান কিন্তু জায়গা খুঁজে পান না। যেগুলো জায়গা খুঁজে পান সেগুলো হচ্ছে কমন জায়গা বা ওগুলোতে আগেও গিয়েছেন। সেই ক্ষেত্রে ময়মনসিংহ হবে আপনার একদিনের ট্যুরের জন্য বেস্ট জায়গা।

ময়মনসিংহের দর্শনীয় স্থান

ময়মনসিংহ জেলায় অনেক ধরনের দর্শনীয় স্থান এবং আকর্ষণীয় স্থানসমূহ পাওয়া যায়। আপনি যদি ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন বা ভ্রমণে আসতে চান তাহলে ময়মনসিংহকে বেছে নিতে পারেনা।

ময়মনসিংহে দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে অন্যতম জায়গাগুলো হচ্ছে-আলেকজান্ডার ক্যাসেল, মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ি,শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদী, ময়মনসিংহ জাদুঘর,বোটানিক্যাল গার্ডেন, ময়মনসিংহ টাউন হল,গৌরীপুর রাজবাড়ী, দুর্গাপুর, কুমির খামার, গারো পাহাড় ইত্যাদি।

আলেকজান্ডার ক্যাসেল - ময়মনসিংহের দর্শনীয় স্থান

আলেকজান্ডার কাছে ময়মনসিংহের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত একটি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা। ১৮৭৯ সালে স্থাপনাটি নির্মাণ করা হয়। এই স্থাপনাটি নির্মাণ করতে চীন থেকে কারিগরি আনা হয়েছিল। কাঠ ও লোহার সংমিশ্রণে অপূর্ব এ প্রাসাদটি নির্মাণ করা হয়। এই প্রাসাদ নির্মাণ করতে অত্যধিক লোহার ব্যবহার করা হয়েছে।

অত্যধিক লোহার ব্যবহার করা হয়েছে বলে এই প্রাসাদকে লোহার কুটি বলা হয় তাকে বা অনেকের কাছে একটি লোহার কুটি নামেই পরিচিতি পায়। এই প্রাসাদে রয়েছে দুইটি মার্বেল পাথরের মধ্যে এবং বেশ কয়েকটা নারীর ভাস্কর্য। 

এই প্রাসাদটি সব সময় ঠাণ্ডা থাকে বলে জানা গেছে। প্রাসাদ সব সময় ঠাণ্ডা থাকার কারণ হচ্ছে প্রাসাদের ছাদে ব্যবহার করা হয়েছে অভ্র ও চুমকি। তাছাড়া প্রাসাদের পিছনে রয়েছে বিশাল একটি পুকুর এবং ফুলের বাগান। যা প্রাসাদের সৌন্দর্য আরও দ্বিগুণ করে তুলেছে। সবকিছু মিলিয়ে প্রাসাদটি অত্যন্ত সৌন্দর্য বহন করেছে।

আলেকজান্ডার ক্যাসেল এর আশেপাশে আরও রয়েছে ছোটখাটো অনেক দর্শনীয় স্থানসমূহ। আপনি চাইলে সেগুলো ঘুরে ঘুরে দেখতে পারেন। ১৯২৬ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভ্রমণের জন্য আলেকজান্ডার ক্যাসেলে এসেছিলেন। এবং তিনি কয়েকদিন এখানে সময় অতিবাহিত করে গেছেন।

কিভাবে যাবেন

আপনি ঢাকা থেকে ময়মনসিংহে যেতে চাইলে বাসে বা ট্রেনে করে যেতে পারেন। তাছাড়া আপনি রিজার্ভ করেও চাইলে যেতে পারেন। ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ যেতে আপনার সময় লাগবে প্রায় তিন থেকে চার ঘণ্টা।

ময়মনসিংহ পৌঁছে গেলে আপনি সেখান থেকে আলেকজান্ডার ক্যাসেলে রিক্সা বা অটো রিক্সা করে সহজেই চলে যেতে। আলেকজান্ডারের ছেলের পাশেই কয়েকটি রেস্টুরেন্ট এবং থাকার জন্য হোটেল রয়েছে সেখানে আপনি খাওয়া-দাওয়া ও রাত্রি যাপন করতে পারেন।

মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ি - ময়মনসিংহের দর্শনীয় স্থান

মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ি ময়মনসিংহে অবস্থিত প্রাচীন একটি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা। প্রাচীনকালে সেখানকার রাজা এটি উপাধি হিসেবে পেয়েছেন। ময়মনসিং থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দূরে এই মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ি অবস্থিত।

মুক্তাগাছা জমিদার বাড়িটির মুক্তাগাছা জেলায় অবস্থিত। মুক্তাগাছা জেলায় অবস্থিত বলে এই বাড়িকে মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ি বলে অবহিত করা হয়। মুক্তাগাছা জমিদার বাড়িতে রয়েছে দশ হাজার বইয়ের একটি বিশাল লাইব্রেরী। তাছাড়াও রয়েছে বিশাল একটি পুকুর এবং একটি বাগান। প্রায় একশ একর জায়গা জুড়ে গড়ে উঠেছে এই মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ি।

মুক্তাগাছা জমিদার বাড়িতে রয়েছে প্রাচীন অনেক ভাস্কর্য। যা দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে থাকে। শুধু দেশের মানুষ নয় প্রাচীন এই ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা মুক্তাগাছা রাজবাড়ি দেখতে বিদেশ থেকেও নানা মানুষ এসে থাকেন। রাজবাড়ীর সামনেই রয়েছে বিশাল একটি লোহার গেট। এই মুক্তাগাছা রাজবাড়িতে ঢুকতে প্রবেশ মূল্য হচ্ছে মাত্র ১২০ টাকা।

কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে আপনি সরাসরি ময়মনসিংহের এই মুক্তাগাছা রাজবাড়ীতে আসতে পারেন বাম ময়মনসিং জেলায় এসে আপনি অটো বা অটোরিকশা করে খুব সহজেই মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ি চলে আসতে পারবেন। আপনার এখানে বারা খরচ পড়বে মাত্র ২০ থেকে ৩০ টাকা।

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা - ময়মনসিংহের দর্শনীয় স্থান

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের জন্ম হচ্ছে বাংলাদেশের ময়মনসিংহে। তিনি এই সংগ্রহশালাটি গড়ে তুলেছেন। জয়নুল আবেদিন ১৯৭৫ সালে এই সংগ্রহশালাটি গড়ে তোলেন। এবং পরবর্তী 1987 সালে এই সংগ্রহশালার নতুন আরও একটি রূপ দেন।

বর্তমান সময়ে এটি অনেক বিখ্যাত একটি জায়গা। অনেক পর্যটকরা দেশ-বিদেশ থেকে এখানে এই সংগ্রহশালাটি দেখতে আসেন। বর্তমান সময়ে এই সংগ্রহশালাটি জাতীয় জাদুকর কর্তৃক পরিচালিত হয়ে আসছে। এবং বর্তমান সময়ে এটি তে আরও নতুন কিছু কাজ করা হয়েছে।

এখানে প্রবেশের জন্য একেবারে ছোট শিশুদের জন্য কোন মূল্য দিতে হয় না। সাত বছরের ঊর্ধ্বে এবং ১২ বছরের নিচে শিশুদের জন্য টিকেট মূল্য মাত্র ১০ টাকা। দেশের সাধারণ নাগরিকদের জন্য ২০ টাকা এবং সার্ক-ভুক্ত নাগরিকদের জন্য ৩০০ টাকা। এবং অন্যান্য দেশ থেকে যে পর্যটকরা এখানে ঘুরতে আসেন তাদেরকে আলাদা সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয় এবং তাদের প্রবেশ মূল্য তাকে ৫০০ টাকা।

কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে আপনি যে কোন বাস বা ট্রেনে করে ময়মনসিংহে চলে আসতে পারেন। ময়মনসিংহ থেকে খুব সহজেই আপনি সংগ্রহশালা নাম করে সিএনজি বা অটোরিকশায় চলে আসতে পারবেন। সিএনজি রিক্সা বা অটোরিকশা করে আসলে আপনার ভারা লাগতে পারে ২০ থেকে ৩০ টাকা।

পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদী - ময়মনসিংহের দর্শনীয় স্থান

বহু বছর আগের একটি নদী হচ্ছে ব্রক্ষপুত্র। ব্রক্ষপুত্র নদীটির অবস্থান হচ্ছে বাংলাদেশের ময়মনসিংহে। জানা গেছে এই ব্রক্ষপুত্র নদীটির তিস্তা নদীর সাথে সংযুক্ত হয়েছে। যারা এই ব্রক্ষপুত্র নদীটি দেখেছেন পা দেখতে গিয়েছেন তারাই এই ব্রহ্মপুত্র নদীটির প্রেমে পড়েছেন।

এখানে যেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। ১৯৮৭ সালে একটি ভূমিকম্পের কারণে ব্রহ্মপুত্র নদীটির দিক পরিবর্তন হয়ে যায়। এবং পরবর্তী সময়ে এই নদীর নতুন একটি শাখা তৈরি হয় যার নাম যমুনা। ব্রক্ষপুত্র এই নদীর আরেকটি শাখা রয়েছে যার নাম নদী বানার।

ব্রক্ষপুত্র এই নদী বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদীর মধ্যে একটি। আপনি যদি প্রাকৃতিক প্রেমী হয় থাকেন বা নদী বেশি ভালবাসেন তাহলে এই নদীতে ভ্রমণের জন্য আসবেন।

কিভাবে যাবেন

আপনি ঢাকা থেকে এখানে আসতে হলে প্রথমে আসতে হবে ময়মনসিংহ জেলায়। ময়মনসিংহ জেলা থেকে আপনি যে কোন যানবাহনে খুব সহজেই চলে আসতে পারবেন এই নদীর পাশে।

ময়মনসিংহ জাদুঘর - ময়মনসিংহের দর্শনীয় স্থান

ময়মনসিংহ এই জাদুকরটি ময়মনসিংহ জেলায় অবস্থিত। এই জাদুঘরটি বাংলাদেশে একটি সংগ্রহশালা হিসেবে কাজ করে আসছে। ময়মনসিং যাদুকরটি জমিদার মদন বাড়ির বাগান বাড়িতে অবস্থিত। অনেকেই এই ময়মনসিং জাদুঘরকে জমিদার বাড়ি বলে থাকে।

ময়মনসিং জাদুকর কে জমিদার বাড়ি বলার কারণ হচ্ছে এই জাদুঘরের অসংখ্য ভাস্কর্য বা বেশিরভাগ আশ্চর্যই ময়মনসিংহের আগেকার জমিদার বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। ময়মনসিংহ যাদুঘরে মোট ২১৪ টি বস্ত্র রয়েছে, যা সেখানকার তিনটি কক্ষে রাখা আছে।

জাদুকরটি ১৯৬৯ সালের গড়ে তোলা হয়েছে। এবং পরবর্তী সময় হাজার ১৯৮৯ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে আনা হয়েছে। এবং পরে ১৯৯৫ সালের সরকারি ভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রথমে যখন এই জাদুঘর গড়ে তোলা হয়েছে, তখনকার সময়ে এই জাদুঘরটি নাম ময়মনসিংহ জাদুঘর ছিল না। তখনকার সময়ে এই জাদুঘরের নাম ছিল মোমেনশাহী জাদুকর।

বর্তমানে এর নামকরণ করা হয় ময়মনসিংহ জাদুঘর। এই যাদুঘরে প্রাচীনকালের অনেক ভাস্কর্য সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। আপনি চাইলে ময়মনসিংহের এই জাদুঘরে ঘুরে যেতে পারেন। আপনি যদি ময়মনসিংহের জাদুকর ভ্রমণ না করেন তাহলে বুঝবেন আপনি খুবই সৌন্দর্য একটি জায়গা মিস করে গেছেন।

কিভাবে যাবেন

ময়মনসিংহ জাদুঘরে আসতে হলে আপনাকে প্রথম আসতে হবে ময়মনসিংহ জেলায়। ময়মনসিংহ জেলা থেকে আপনি খুব সহজেই ময়মনসিংহ যাদুঘরে চলে যেতে পারবেন। আপনি যদি রিক্সা বা অটোরিকশা যান তাহলে আপনার ২০ থেকে ৩০ টাকা ভারা লাগবে।

বোটানিক্যাল গার্ডেন - ময়মনসিংহের দর্শনীয় স্থান

বোটানিক্যাল গার্ডেনটি জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান নামে পরিচিত। বোটানিক্যাল গার্ডেন টিম ময়মনসিংহ জেলায় অবস্থিত। বাংলাদেশের জাতীয় চিড়িয়াখানার পাশেই এই বোটানিক্যাল গার্ডেনের অবস্থা। এখানে আপনি দেশি-বিদেশি নানান জাতির গাছ পাবেন।

এই গার্ডেনে আপনি বিদেশী অনেক রকমের গাছ পাবেন যা বাংলাদেশের সচরাচর পাওয়া যায় না। আপনাকে গার্ডেন থেকে সেই গাছগুলো আনার সময় বলে দেওয়া হবে কাজগুলোতে কি রকম পরিচর্যা করতে হবে এবং কি রকম পরিচর্যা করলে সেগুলো বেড়ে উঠবে। 

বোটানিক্যাল গার্ডেন প্রায় ২০৮ একর জায়গা জুড়ে গড়ে উঠেছে। এই বোটানিক্যাল গার্ডেনে আপনি প্রায় ৮০০ প্রজাতির বৃক্ষ পাবেন। এখানে ফুল এবং ফলের গাছ ছাড়াও আপনি আরও অনেক ধরনের বোনাস কাজ এবং ঔষধি গাছ পাবেন। ময়মনসিংহ জেলায় এই বোটানিক্যাল গার্ডেনটি অনন্য।

আপনি এই বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রায় সব ধরনের গাছ পাবেন। সুন্দর সুন্দর ফুল এবং ফলের গাছসহ এখানে আপনি প্রয়োজনীয় সকল ঔষধি কাজ এবং বিদেশী গাছ ও বনজ গাছও পেয়ে যাবেন। আপনি যদি এই বোটানিক্যাল গার্ডেনে আসতে চান বা এখান থেকে কোন গাছ নিতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে আসতে হবে ময়মনসিং জেলায়।

কিভাবে যাবেন

ময়মনসিংহ জেলা থেকে আপনি খুব সহজেই সিএনজি করে বোটানিক্যাল গার্ডেনে পৌঁছে যেতে পারবেন।

গৌরীপুর রাজবাড়ী - ময়মনসিংহের দর্শনীয় স্থান

গৌরীপুর রাজবাড়ী ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় অবস্থিত একটি বিশাল রাজবাড়ী। প্রায় ১৭ শতাব্দীর আগে এই জমিদার বাড়িটি গড়ে উঠেছে বলে ধরা হয়েছে। আগেকার সময়ে গৌরীপুর রাজবাড়ির পাশাপাশি আরও দুইটি রাজবাড়ী ছিল বলেও জানা যায়। তবে সেই রাজবাড়ীর তুলনায় গৌরীপুর রাজবাড়ী ছিল বিখ্যাত এবং বড়। তবে এই রাজবাড়ীর মূল প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন সেটা আজও কেউ বলতে পারেনি বা সঠিক তথ্য জানা যায়নি।

এটি বর্তমান সময়ে একটি মহিলা কলেজ হিসেবে পরিচালিত হয়ে আসছে। এখনো এই রাজবাড়ীটি আগেকার মতো সৌন্দর্য বহন করে রয়েছে। এটি প্রাচীনকালের তৈরি হলেও যেন বর্ধমানের সাথে তাল মিলিয়ে আছে। প্রাচীনকালেও এটাকে খুব যত্নে এবং সৌন্দর্যের সাথে গড়ে তোলা হয়েছে তা দেখলেই বোঝা যায়। আপনি যদি ময়মনসিংহে আসেন তাহলে অবশ্যই এ রাজবাড়ী ভ্রমণ করে যাবেন।

কিভাবে যাবেন

গৌরীপুর রাজবাড়ীটি দেখতে হলে আপনাকে প্রথমে ময়মনসিংহ জেলায় আসতে হবে। তারপর ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলায় এসে আপনি খুব সহজেই এর ঠিকানা পেয়ে যাবেন বা খুব সহজেই বাস বা সিএনজি করে গৌরীপুর রাজবাড়ীতে পৌঁছে যাবেন।

কুমির খামার - ময়মনসিংহের দর্শনীয় স্থান

ময়মনসিংহ জেলায় অবস্থিত খুবই বিখ্যাত একটি জায়গা হচ্ছে কুমির খামার। ময়মনসিং জেলার বালুকা উপজেলায় অবস্থিত এই কুমির খামার। এখানে সব ধরনের কুমির পাওয়া যায় সব বয়সে কুমির পাওয়া যায়। এখানে ছোট বড় সহ প্রায় আড়াই হাজারের বেশি কুমির রয়েছে। ২০০৪ সালে মাত্র ৭৪ টি কমিন নিয়ে এই খামাটি প্রথম গড়ে উঠেছে।

এই কুমিরগুলোর চামড়াও রপ্তানি করা হয় থেকে নানান জেলায়, নানান দেশে। প্রথম দিকে ১৫ একর জমিতে এই কুমির খামারটি গড়ে তোলা হয়েছে বর্তমানে বিশাল একটি জায়গায় অবস্থিত রয়েছে এই কুমির খামার।

এই খামাটি বাংলাদেশের খুবই বিখ্যাত একটি কুমির খামার। এই খামারের প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন মুস্তাক আহমেদ। এই কুমিরের খামারটি দেখার জন্য বিদেশ থেকেও অনেক মানুষ জড় করে থাকেন। এ খামারটি দেখতে আসতে হলে আপনাকে প্রথমে আসতে হবে ময়মনসিংহ জেলায়, ময়মনসিংহ জেলা থেকে আপনাকে যেতে হবে ভালুকা উপজেলায়।

কিভাবে যাবেন

ময়মনসিংহের বালুকা উপজেলা থেকে খুব সহজেই সিএনজি করে আপনি পৌঁছে যেতে পারবেন কুমির খামারে।

ময়মনসিংহের দর্শনীয় স্থানে কোথায় থাকবেন

আপনি যদি ঢাকায় বা ময়মনসিংহের আশেপাশে কোন জায়গায় থাকেন তাহলে দিনে দিনে গিয়ে দিনে চলে আসতে পারবেন। আর আপনি যদি ময়মনসিংহ জেলায় থাকতে চান তাহলে রয়েছে এখানে অনেক ধরনের হোটেল।

আপনি ময়মনসিংহ জেলায় থাকতে চাইলে সেখানে আপনি থাকতে পারবেন আলহেরা হোটেল, হোটেল মুস্তাফিজ, সিলভার ক্যাসেল, হোটেল আমির ইন্টারন্যাশনাল ইত্যাদি আর ছোটখাটো অনেক ধরনের হোটেল পাওয়া যায় আপনি চাইলে সেগুলোতেও কম করেছে থাকতে পারবেন বা রাত্রিযাপন করতে পারবেন।

ময়মনসিংহের দর্শনীয় স্থানে খাওয়া-দাওয়া

ময়মনসিংহ জেলার খাওয়া-দাওয়ার জন্য অনেক রকমের ভালো হোটেল পাওয়া যায়। ময়মনসিংহে আপনি ভাল হোটেলের মধ্যে পাবেনা সারিন্দা, হোটেল খন্দকার, সেভেন ইলেভেন ইত্যাদি আরও হোটেল পাওয়া যায় আপনি চাইলে সেগুলোতেও রাত্রিযাপন করতে পারবেন।

পরিশেষে

আমরা যারা ভ্রমণ করতে ভালোবাসি, তারা অনেক জায়গায় ভ্রমণ করতে চাই। বেশিরভাগ সময় দেখা যায় সবাই সিলেট, চট্টগ্রাম, রাজশাহী এসব জায়গায় ভ্রমণ করে থাকেন। ময়মনসিংহে যাওয়ার জন্য কেউ খুব একটা চিন্তাভাবনা করে না। তবে ময়মনসিংহে ও যে রয়েছে সুন্দর সুন্দর আকর্ষণীয় অনেক জায়গা। আপনি যদি নতুন কিছু অনুভব করতে চান বা দেখতে চান তাহলে আপনি অবশ্যই চলে আসুন ময়মনসিংহ জেলায়। 

আজকে আমরা ময়মনসিংহ জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনি যদি পুরোটা পড়েন তাহলে ময়মনসিংহের সৌন্দর্য সম্পর্কে ও আকর্ষণীয় স্থান সম্পর্কে কিছুটা হলেও জানতে পারবেন।

ময়মনসিংহের দর্শনীয় স্থান এই পুরো পোস্টটি এতক্ষণ মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অবশ্যই ভ্রমণ করবেন, তবে যাতায়াতের সময় সতর্কতার সহিত চলাফেরা করবেন, তাড়াহুড়ো করবেন না। সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। ধন্যবাদ।

ময়মনসিংহের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর / FAQ

প্রশ্ন ১: ময়মনসিংহের দর্শনীয় স্থান কি কি? 

উত্তর:- ময়মনসিংহে কিছু দর্শনীয় স্থান হচ্ছে -

  • ময়না দ্বীপ। 
  • বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। 
  • শশী লজ। 
  • সন্তোষপুর রাবার বাগান। 
  • মুক্তাগাছার জমিদার বাড়ি। 
  • আঠারবাড়ী জমিদার বাড়ি। 
  • রাম গোপালপুর জমিদার বাড়ি। 
  • রাজার পাহাড়। 
  • পানিহাটা তারানি পাহাড় সহ আরও অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে ময়মনসিংহে। 

প্রশ্ন ২: ময়মনসিংহ বিভাগ ঘোষণা করা হয় কত সালে? 

উত্তর:- ময়মনসিংহ বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর। 

প্রশ্ন ৩: কুমিল্লা কি কি আছে? 

উত্তর:- কুমিল্লাতে রয়েছে দেখার মতো অনেক আকর্ষণীয় স্থান। যেমন শালবন বিহার, কুটিলামুড়া, রূপবন মুড়া, চন্দ্র মুড়া, বাণীর বাংলার পাহাড়, সতের রত্নমুড়া, ইটাখোলা মুড়া, আনন্দ বাজার প্রাসাদ, ভোজ রাজদের প্রাসাদ ইত্যাদি। কুমিল্লার এই বিভিন্ন সৌন্দর্য দর্শনীয় স্থান উপভোগ করতে চাইলে অবশ্যই কুমিল্লা ভ্রমণে আসতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সৌমিক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url