পেটের মেদ কমানোর ঘরোয়া উপায়
নিয়ন্ত্রিত খাদ্য গ্রহণ এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে আমরা শরীরের অতিরিক্ত চর্বি বা স্থূলতা এড়াতে পারি। চলুন জেনে নেওয়া যাক মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর উপায়, পেটের মেদ কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
পেটের মেদ কমানোর জন্য কিছু টিপস - পেটের মেদ কমানোর ঘরোয়া উপায়
- পেটের মেদ কমানোর ঘরোয়া উপায় - নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও সঠিক জীবনযাপনের মাধ্যমে আমরা শরীরের বাড়তি মেদ জমা বা ভুঁড়ি হওয়া থেকে রক্ষা পেতে পারি। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক, পেটের মেদ বা ভুঁড়ি থেকে বাঁচতে কি করা যায়।
- খাদ্যতালিকায় ফাইবার-সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যেমন—লাল চাল বা লাল আটার তৈরি খাবার এবং শাকসবজি ও ফলমূলজাতীয় খাবারে মিলবে আঁশ।
- আখরোট, কাঠবাদাম ও সামুদ্রিক মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎস। তাই এসব খাবার পেটের মেদ কমাতে কার্যকর।
- কাঁচা রসুনের কয়েক কোয়া সকালবেলা চুষে খান। এই অভ্যাসের ফলে দ্রুত আপনার ওজন কমবে আর পেটের মেদ ঝরবে। কাঁচা রসুন শরীরের রক্তপ্রবাহ সহজ করে। পেটে মেদ জমতে দেয় না।
- সকাল শুরু করুন এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করে। এতে শরীরের হজম প্রক্রিয়া ভালো থাকবে এবং শরীরে মেদ জমার প্রক্রিয়া ধীর হবে।
- অতিরিক্ত চিন্তা ও কম উদ্যোগের ফলেও কোমরের চারপাশে বা পেটে মেদ জমতে পারে। তাই ভুঁড়ি কমাতে অবশ্যই চিন্তামুক্ত জীবনযাপন করতে হবে।
- অনেকেই খাবার খাওয়ার পর বসে থাকেন বা শুয়ে পড়েন। তাদের খাবার সঠিকভাবে পরিপাক হয় না, ফলে পেটে চর্বি জমতে থাকে। সে জন্য খাবার খাওয়ার পর একটানা শুয়ে-বসে না থেকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করা উচিত।
- যাঁদের সারা দিন টেবিল–চেয়ারে বসে কাজ করতে হয়, তাঁদের পেটে সহজে মেদ জমে যায়।
- একবারে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ না করে অল্প অল্প করে বারবার খাবার গ্রহণ করুন। সারা দিনের অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টার খাবারকে ৫-৬ বারে গ্রহণ করুন। সেখানে তিনবার প্রধান খাবার ও দুই-তিনবার নাশতাজাতীয় খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন।
অস্বাস্থ্যকর ঘুমের রুটিন বদলে ফেলুন
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবের সাথে ওজন বেড়ে যাবার একটি সম্পর্ক রয়েছে। এর পেছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে। রাত জাগলে কিছু একটা খেতে ইচ্ছা করতে পারে। এভাবে খাওয়া অতিরিক্ত খাবারের ক্যালরি শরীরে মেদ হিসেবে জমা হয়, ঘুমিয়ে থাকলে সেই অতিরিক্ত ক্যালরি খাওয়া হতো না।
রাত জেগে কাজ করার সময় খাবার হিসেবে সাধারণত ক্ষতিকর ফ্যাট বা চিনিযুক্ত খাবার, অথবা অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার বেছে নেওয়া হয়। খাবারটি স্বাস্থ্যকর কিনা তা নিয়ে তখন সাধারণত চিন্তা করা হয় না।
এছাড়া নিয়মিত যদি পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব হয়, তখন সেটা মানসিক চাপ বা স্ট্রেস তৈরি করতে পারে। এই স্ট্রেস আবার বিভিন্নভাবে বাড়তি ওজন এবং মেদ জমার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর উপায়
মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর জন্য পেটের মেদ কমানোর ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করুন। যেমন-
- চা পান করা
চায়ে ক্যাটাচিন উপাদান রয়েছে (এক ধরনের প্রাকৃতিক ফেনল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট) যা দ্রুত মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। তাই পেটে মেদ কমানোর জন্য চা হতে পারে অন্যতম পানীয়।
- চিনি ওজন কমায়
পেটের মেদের অন্যতম কারণ হচ্ছে চিনি।ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে চিনিমুক্ত খাবার। আপনার ডায়েট চার্ট থেকে আজই চিনি বাদ দিন। গ্লুকোজ এবং ফ্রুকটোজে থাকা চিনিতে কার্বোহাইড্রেট থাকে।
এগুলো প্রচুর পরিমাণে খেলে গ্লাইটোজেনে পরিণত হয়। যা ফ্যাট টিস্যুতে জমা হয়। এক্ষেত্রে পরিশোধিত চিনি খাওয়ার পরিবর্তে খাবার এবং ফলমূল খেতে হবে যেগুলোতে প্রাকৃতিক চিনি রয়েছে।
- খাদ্যতালিকায় প্রোটিন রাখুন
প্রোটিন পেটে চর্বি জমতে বাধা দেয়। প্রোটিনের চাহিদা পূরণের জন্য আপনি খাদ্যতালিকায় পনির, টক দই, ডিম, লাল মাংস রাখতে পারেন।
- প্রচুর আঁশ সমৃদ্ধ খাবার
আঁশ সমৃদ্ধ খাবার পেটের চারপাশে চর্বি জমতে দেয় না। খাবার খাওয়ার দীর্ঘসময়ও পেট ভর্তি মনে হয়।
- হাঁটাচলা
আমাদের দৈনন্দিন জীবন-যাপনের কারণেই পেটে চর্বি জমে। সাধারণত যারা কর্মক্ষেত্রে দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করেন তাদেরই ওজন বেড়ে যায় এবং নানান রোগে ভুগেন। সুস্থ থাকতে হলে হাঁটার কোনো বিকল্প নেই। উঠানামায় লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ভাঙার অভ্যাস করতে হবে।
পেটের মেদ কমানোর খাবার তালিকা
পেটের মেদ কমানোর ঘরোয়া উপায় - পেটের মেদ কমানোর জন্য আপনার খাবার তালিকায় যেসকল খাদ্যগুলো যুক্ত করতে পারেন, সেগুলো হলো: মটরশুঁটি, সবুজ শাক-সবজি, পানি, শসা, অ্যাভোক্যাডো, পিপারমেন্ট, তরমুজ, কাজুবাদাম, যব বা জই, আপেল ইত্যাদি। এ ছাড়া ব্লু বেরি, গ্রিন টি, সয় খাওয়া পেটের মেদ ঝোড়াতে সাহায্য করে। শুধুমাত্র উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবারই পেটের মেদ বাড়ায়, বিষয়টি এমন নয়।
বরং বেশি ক্যালরিযুক্ত যেকোনো খাবারই পেটের মেদ বাড়ার কারণ হতে পারে। আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন ক্ষতিকর উপাদান, যেমন- মদ, মিষ্টিজাতীয় খাবার, বেশি প্রোটিনযুক্ত খাবার পেটের মেদ অনেকাংশে বৃদ্ধি করে। ওয়েক ফোর্স বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ট্রান্সফ্যাট পেটের মেদ বাড়িয়ে তোলে।
এ ধরনের ফ্যাট পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের হাই ফ্যাট যুক্ত খাবার, যেমন- আলুর চিপস, প্যাসট্রিস, ভাজা খাবারে। তাছাড়া কোমল পানীয়, মিষ্টিজাতীয় ব্যাভারেজ ইত্যাদির মধ্যে অ্যাডেড সুগার থাকে। এগুলোও পেটের মেদ বাড়িয়ে তুলতে পারে। অন্যদিকে, লাল মাংস, স্যাচুরেটেড চর্বিজাতীয় খাবার কমিয়ে ফল ও সবজি খান। পেটের চর্বি কমানোর সহজ ও কার্যকর উপায় হিসেবে, এই খাদ্য তালিকার পাশাপাশি অবশ্যই নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
যে পাঁচটি কারণে আপনার বেলি ফ্যাট দেখা যায়
১) অনিয়মিত ঘুম
রাত জাগা,ঘুম কম হওয়া এসব কারণেও উপরের পেটে মেদ জমে।
২) বয়স বাড়া
বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের শরীরে অনেক পরিবর্তন আসতে থাকে। তখন ত্বকের নিম্নস্তরের চর্বি হ্রাস পেতে থাকে এবং উপরের পেটে মেদ তৈরি হতে থাকে।
৩) দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকা
আমরা প্রায়ই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ি। আর এ দুশ্চিন্তাই আমাদের উপরের পেটের চর্বি বাড়ায়। দুশ্চিন্তা আমাদের শরীরে আ্যাড্রিনাল (Adrenaline) গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত এক ধরনের হরমোন তৈরি করে, যা আমাদের যকৃত থেকে চিনি নিঃসরণ করে উপরের পেটে মেদ তৈরি করে।
৪) শারীরিক পরিশ্রম না করা
ব্যস্ততার কারণে বা আলসেমি করে আমরা শারীরিক পরিশ্রম করিনা। বাইরে বের হলে পায়ে না হেঁটে যানবাহন ব্যবহার করি। সিঁড়ি ব্যবহার না করে দ্রুত লিফটে উঠে যাই। নিয়মিত হাঁটাচলা আর ব্যায়াম আমাদের জন্য খুব জরুরি। এতে আমাদের শরীরসহ উপরের পেট মেদ মুক্ত থাকে।
৫) অস্বাস্থ্যকর খাবার
আমরা প্রত্যেকেই বিভিন্ন জাঙ্ক ফুড (Junk food) যেমন ভাজাপোড়া খাবার,ফাস্টফুড ও মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে পছন্দ করি। এসব খাবার বেশীরভাগই অস্বাস্থ্যকর। কারণ এগুলো আমাদের শরীরে ক্যালরির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। নিয়মিত জাঙ্ক ফুড ও প্রক্রিয়াজাত খাবার আমাদের বিপাক তন্ত্রের ক্রিয়া হ্রাস করে এবং উপরের পেটে মেদ জমায়।
বেলি ফ্যাট কমানোর উপায় - ৭ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায়
১) সপ্তাহে ৪ দিন ব্যায়াম
উপরের পেটের চর্বি কমানোর বেস্ট সমাধান হলো ব্যায়াম। ব্যাস্ততার কারণে আমরা জিমে যেতে না পারলে ঘরে বসেই সহজ কিছু ব্যায়াম করে আমরা উপরের পেটের মেদ কমাতে পারি। যা করতে সময়ও কম লাগে এবং বাড়তি কোন উপকরণের প্রয়োজনও পড়ে না। সপ্তাহে ৪ দিন ৪৫ মিনিট করে ব্যায়াম করুন। এছাড়া সাঁতার কাটা,সাইকেল চালানো উপরের পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে।
২) প্রচুর পানি পান করা
প্রচুর পানি পান করতে হবে। বাইরের এনার্জি ড্রিংকস, সফট ড্রিংকস এগুলো খাওয়া বাদ দিতে হবে। পর্যাপ্ত পানি পান আমাদের শরীরে ম্যাজিকের মতো চর্বি কাটতে সাহায্য করে। এছাড়া প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১ গ্লাস কুসুম গরম পানির সঙ্গে অর্ধেকটা লেবু ও ১ চামচ মধু মিশিয়ে খেলে উপরের পেটের মেদ কাটে।
আবার আদা থেঁতো করে ১ গ্লাস পরিমাণ পানির সাথে সেদ্ধ করে এতে অর্ধেকটা লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খেলেও মেদ কেটে যায়। নিয়মিত এই মিশ্রণ গুলো খেলে উপরের পেটের মেদ অনেকাংশেই কেটে যাবে।
৩) স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
সকালের নাস্তায় ওটস রাখতে হবে। এক বাটি ওটসের সাথে ফ্যাট ফ্রি দুধ, সাথে যেকোনো ফল মিশিয়ে সকালের নাস্তা করতে হবে। প্রচুর ফলমূল খেতে হবে। ওটস আমাদের শরীরের এনার্জি বাড়ায়। সেই সাথে ডিটক্স ওয়াটার পান করতে পারেন।
৪) হেলদি ডায়েট অনুসরণ করা
সঠিক ডায়েট অনুসরণ করলে আমাদের উপরের পেটের মেদ কমার সাথে সাথে সুন্দর ও সুগঠিত থাকবে। একবারে ভরপেট না খেয়ে দৈনিক ৫-৬ বার অল্প অল্প করে খাবেন। এতে করে ঘন ঘন ক্ষুধা ভাবটা কেটে যাবে আর খাওয়ার পরিমাণটাও কমে যাবে। কম তেল ও কম মশলা যুক্ত খাবার খেতে হবে।
রান্নায় সয়াবিন ও সরিষার তেলের পরিবর্তে অলিভ ওয়েল ব্যবহার করবেন। লাল চালের ভাত ও লাল আটার রুটি খেতে হবে। চর্বি জাতীয় মাংস বর্জন করে মুরগীর মাংস খান। আঁশ জাতীয় খাবার ,মাছ, ডিম,শাকসবজি ও সালাদ খেতে হবে। খাওয়ার ১৫/২০ মিনিট আগে এক গ্লাস পানি পান করতে হবে। এতে ক্ষুধাভাব কমে যাবে। খাওয়ার এক ঘণ্টা পর পানি পান করতে হবে। রাতে ঘুমের ২ ঘণ্টা আগে খাওয়া শেষ করবেন।
৫) আট ঘণ্টা ঘুমান
ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে আমাদের উপরের পেটের মেদ বাড়ে। আমাদের শরীরে ২ ধরনের হরমোন কাজ করে-
- Ghrelin Hormone (গ্রীলিন হরমোন)।
- Leptin Hormone (ল্যাপটিন হরমোন)।
Ghrelin হরমোন আমাদের শরীরে ক্ষুধাভাব তৈরি করে। যখন আমরা কম ঘুমাই, রাত জাগি তখন আমাদের শরীরে প্রচুর Ghrelin হরমোন তৈরি হয়। এতে আমাদের ক্ষুধাভাবও বেড়ে যায়। Leptin হরমোন জানান দেয় কখন আমাদের খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে আমাদের শরীর থেকে Leptin হরমোন কমে যেতে থাকে। কাজেই দৈনিক ৮ ঘন্টা ঘুম আমাদের শরীর ফিট রাখে এবং উপরের পেটে মেদ না জমতে সাহায্য করে।
পেটের মেদ কমানোর প্রয়োজনীয়তা
পেটের মেদ কমানোর ঘরোয়া উপায় - পেটের মেদ বা চর্বি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত বিপদ-জনক। অতিরিক্ত পেটের চর্বি ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং এমনকি কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকিরও সৃষ্টি করতে পারে। তাছাড়া চলাফেরায় অসুবিধা, জীবনের স্বাদ নিতে না পারা ইত্যাদি সাধারণ সমস্যা তো আছেই।
অতিরিক্ত মেদ বা চর্বি আমাদের বাহ্যিক সৌন্দর্য কে নষ্ট করে। একটি সুস্থ ও সুন্দর জীবন পেতে নিজের ওজন ঠিক রাখা ও পেটের নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে উপরোক্ত উপায়গুলো আপনার দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োগ করে খুব কম সময়ের মধ্যেই পেটের বাড়তি মেয়াদ কমাতে পারবেন।
শেষ কথা: পেটের মেদ কমানোর ঘরোয়া উপায় - ৭ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায়
আশা করবো এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি পেটের মেদ কমানোর উপায়গুলোর ব্যাপারে স্বচ্ছ ধারণা পেয়েছেন। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন এই পরামর্শগুলো পেটের মেদ কমানোর পাশাপাশি কোমরের মেদ, উরুর মেদ, নিতম্বের মেদ ও মুখের চর্বি কমাতেও সাহায্য করবে।
পেটের বাড়তি চর্বি/মেদ আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে নানানভাবে বিষাদগ্রস্ত করতে পারে। তাই উপরোক্ত পেটের মেদ কমানোর সহজ ও কার্যকরী উপায়গুলো আপনার জীবনে প্রয়োগ করুন। এবং একটি সুস্থ জীবন ব্যবস্থায় পরিচালিত হন।
পেটের মেদ কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর / FAQ
প্রশ্ন ১: কিভাবে ব্যায়াম করলে পেট কমবে?
উত্তর:- যেভাবে ব্যায়াম করলে পেট কমবে তা হচ্ছে - মাটিতে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়বেন ,এবার হাত এবং পায়ের পাতার উপর ভর দিয়ে মাটি থেকে পুরো শরীরকে তুলে রাখবেন। তারপর ৯০ ডিগ্রি কোণে কনুই ভেঙে ধীরে ধীরে পুরো দেহটি মাটির কাছাকাছি নিয়ে আসবেন আবার উপরে তুলবেন। আপনার পেট এবং দেহের উপরের অংশের মেদ ঝরানোর জন্য খুবই উপকারী এই ব্যায়াম।
প্রশ্ন ২: পেটের মেদ কমানোর ব্যায়াম কখন করা উচিত?
উত্তর:- পেটের মেদ কমানোর জন্য সকালের ব্যায়াম সর্বোত্তম এবং কার্যকরী।
প্রশ্ন ৩: চর্বি কমানোর ঔষধের নাম কি?
উত্তর:- চর্বি কমানোর জন্য অনেক ঔষধই রয়েছে, তবে কার্যকরী কিছু ঔষধ হচ্ছে -
- কোবিস ১২০ এম জি ক্যাপসুল ( Cobese 120 mg capsule)
- ওবেলিট ১২০ এম জি ক্যাপসুল (Obelit 120 mg capsule)
- ওস্টয়াট ১৫০ এম জি ক্যাপসুল (Ostat 120 MG capsule)
- অবিলিক্স ১২০ এম জি ক্যাপসুল (Obilix 120 mg capsule)।
প্রশ্ন ৪: ওজন কমানোর সবচেয়ে সফল পিল কোনটি?
উত্তর:- ক্লিনিকালি স্টাডি অনুযায়ী, সেমাগ্লুটাইডের সাথে সম্ভাব্য ওজন হ্রাসের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য। ১৭৫ জন ব্যক্তির উপর ২০২২ সালে একটি গবেষণায় দেখা যায় যে, তিন মাসে ৫.৯% এবং ছয় মাসে ১০.৯% ওজন হ্রাস পেয়েছে।
প্রশ্ন ৫: ওজন কমানোর জন্য কোন জিএলপি ১ ভালো?
উত্তর:- অতিরিক্ত ওজন (টাইপ ২ ডায়াবেটিস ছাড়া) লোকেদের জন্য দীর্ঘস্থায়ী ওজন ব্যবস্থাপনার জন্য শুধুমাত্র দুই ধরনের GLP-1 অ্যাগোনিস্ট অনুমোদিত,ওয়েগোভি ও সাক্সেন্ডা। অন্যান্য GLP-1 অ্যাগোনিস্ট, যথা-ওজেম্পিক, টাইপ ২ ডায়াবেটিসের চিকিৎসার জন্য অনুমোদিত। তবে কিছু ক্ষেত্রে ওজন কমানোর জন্য অফ লেভেলও নির্ধারিত হতে পারে।
প্রশ্ন ৬: GLP-1 এর কাজ কি?
উত্তর:- GLP (গ্লুকাগন সদৃশ পেপটাইড) 1 হল- একটি হরমোন যা অন্ত্রে উৎপাদিত হয় এবং খাবারের প্রতিক্রিয়ায় নি:সৃত হয়। এটা ক্ষুধা হ্রাস করে এবং ইনসুলিন নি:সরণ করে।
সৌমিক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url