রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থান গুলোর নাম জেনে নিন
রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থান গুলোর নাম
রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ সাজেক ভ্যালি, ঝুলন্ত সেতু, কাপ্তাই হৃদ, শুভলং ঝর্না, কাপ্তাই বাঁধ, রাজ বন বিহার, উপজাতিয় জাদুঘর, কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান, কর্ণফুলী কাগজ কল, চিং-মরম বৌদ্ধবিহার, শুভলং ঝর্ণা, চাকমা রাজবাড়ী, ধুমপানি ঝর্ণা, টুকটুক ইকো ভিলেজ, হাজাছড়া ঝর্ণা, ডালছড়ি জেতবন বিহার, বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র ইত্যাদি।
আজকে আমরা রাঙ্গামাটি দর্শনীয় স্থান গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। রূপের রানী নামে খ্যাতি পাওয়া এই জেলার সব তথ্য জানতে চাইলে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। তাহলে চলুন রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থান গুলোর সাথে পরিচিত হই।
সাজেক ভ্যালি (Sajek velley)
প্রায় সব মৌসুমেই সাজেকের বিভিন্ন সৌন্দর্য লক্ষ করা যায়৷ তাই সব ঋতুতেই পর্যাটকে মুখরিত থাকে সাজেক ভ্যালি। সাজেকে প্রবেশ করার আঁকাবাঁকা রাস্তা ও প্রকৃতির বিভিন্ন সাজ আপনাকে ক্ষণে ক্ষণে মুগ্ধ করবে। সাজেক ভ্যালিতে (Sajek velley) প্রবেশ করার পর আপনি এক অন্য দুনিয়ায় হারিয়ে যাবেন। যেন মনে হবে আপনি মেঘের কোনো এক স্তরে বসবাস করছেন।
এই অপরূপ সৌন্দর্য দেখে আপনি সাজেক ভ্যালির প্রেমে পড়তে বাধ্য হবেন। রাঙ্গামাটির রুইলুইপাড়া থেকে শুরু হয়ে কংলাক পাহাড়ের চূড়ায় শেষ সাজেক ভ্যালি। কংলাক পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে কংলাক পাড়া। কংলাক পাড়ার চূড়ায় না উঠলে পুরো সাজেক ভ্রমণই বৃথা। কারণ কংলাক পাড়া থেকে প্রকৃতির লুকিয়ে রাখা সৌন্দর্য পুরোপুরি উপভোগ করা যায়।
এবং কংলাক পাড়া থেকে ভারতের লুসাই পাহাড়ের সৌন্দর্যও দেখা যায়। সাজেকে সকাল শুরু হয় বিভিন্ন পাখির ডাকে আবার সন্ধ্যাও নামে পাখির ডাকে। পাখি, মেঘ, পাহাড়, শুনশান নীরবতা ও ঝিরিঝিরি বাতাসের নগরী সাজেক ভ্যালি।
ঝুলন্ত সেতু (Hanging bridge)
রাঙ্গামাটি জেলার একদম শেষ প্রান্তে, ৩৩৫ ফুট লম্বা ঝুলন্ত সেতু অবস্থিত। এই সেতুকে ইংলিশে বলা হয় Symbol of Rangamati. দুইটি পাহাড়ের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করানো এই সেতুটি রাঙ্গামাটি বিশেষ আকর্ষণ। ঝুলন্ত সেতুটিকে দেখতে হাজার হাজার পর্যাটক ঝড় হয়। ঝুলন্ত সেতু পারাপারের সময় আপনাকে দিবে ভিন্ন এক অনুভূতি। আবার এই সেতুতে বসে কাপ্তাই হৃদ দেখা যায়, যা রাঙ্গামাটির আরেকটি দর্শনীয় স্থান।
ঝুলন্ত সেতুটি দেখতে হলে শীতের মৌসুমে যাওয়াই শ্রেয়৷ কারণ বর্ষার মৌসুমে সেতুটি পানিতে ডুবে যায়৷ তাই ঝুলন্ত সেতুটির সৌন্দর্য যদি উপভোগ করতে চান, তাহলে শীতের মৌসুমে যাওয়ার চেষ্টা করুন।
কাপ্তাই হ্রদ (kaptai lake)
রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থান এর মধ্যে কাপ্তাই হ্রদ খুবই জনপ্রিয়। কাপ্তাই হ্রদ কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা হলেও এর সৌন্দর্য আপনাকে মুখরিত করবে। কাপ্তাই হ্রদের আয়তন ১১ হাজার বর্গকিলোমিটার। যার চারপাশে রয়েছে আঁকাবাঁকা রাস্তা, ছোট ছোট পাহাড় এবং পাখিদের কোলাহল যা যেকোনো মানুষ মুগ্ধ হতে বাধ্য।
বর্ষাকালে কাপ্তাই হ্রদে (kaptai lake) ভ্রমণ করার শ্রেষ্ঠ সময়। কারণ বর্ষাকালে ঝর্নাগুলোতে ভরপুর পানি থাকে, যার কারণ মন উজাড় করে কাপ্তাই হ্রদ উপভোগ করা যায়। কাপ্তাই হ্রদকে কেন্দ্র করেই রাঙ্গামাটিতে পর্যাটক শিল্প গড়ে উঠেছে। রঙ-বেরঙের নৌকায় ভেসে কাপ্তাই হ্রদকে উপভোগ করার জন্য রয়েছে বিশেষ সুবিধা।
শুভলং ঝর্ণা (Shuvolong waterfall)
রাঙ্গামাটির শুভলং ঝর্ণা যেন প্রকৃতির অপরূপ সৃষ্টি। বর্ষা মৌসুমে গেলে মনে হবে শুভলং ঝর্ণার মন খারাপ,অবিরাম কেঁদেই চলছে। শুধু এই শুভলং ঝর্ণা দেখতে সুদূর বিদেশ থেকেও পর্যাটক আসে। শুভলং ঝর্ণা রাঙ্গামাটির বিশেষ এক ঐতিহ্য।
রাঙ্গামাটির শুভলং ঝর্ণাটি বরকত উপজেলার মধ্যে। বরকত উপজেলায় রয়েছে রাঙামাটির সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কালিট্যাং তুগ। এই পর্বতশৃঙ্গ থেকে পুরো প্রকৃতিময় রাঙ্গামাটি শহরটি দেখা যায়। তাই কালিট্যাং তুগ পর্বতশৃঙ্গটি বিশেষ ভাবে বিখ্যাত। শুভলং ঝর্ণাটি উপভোগ করতে চাইলে বর্ষাকালে ভ্রমণ করার চেষ্টা করবেন।
ধুমপানি ঝর্ণা (Dhuppani waterfall)
ধুমপানি ঝর্ণার কাছে গেলে আপনি কোনো আওয়াজ করতে পারবেন না। কারণ এই ঝর্ণাটির নিচে কিছু সাধু সন্ন্যাসী ধ্যানমগ্ন থাকেন। যার কারণ কথা বলা বা আওয়াজ করা নিষেধ। ধুমপানি ঝর্ণার ঝিরিঝিরি শব্দ অনেক দূর থেকেও শুনতে পাওয়া যায়। রাঙামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলায় ধুমপানি ঝর্ণা অবস্থিত। মনোমুগ্ধকর এই ঝরনাটির উচ্চতা ১৫০ ফুট।
মন মানসিকতা খারাপ থাকলে নির্জন ধুমপানি ঝরনায় ভ্রমণ করতে পারেন। কারণ মন মানসিকতা ভালো করার জন্য ধুমপানি ঝরনা উত্তম একটি জায়গা।
রাজবন বিহার (Rajban Vihar)
রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে রাজবন বিহার খুবই উল্লেখযোগ্য। প্রায় বারো মাস রাজবন বিহার পর্যটকে মুখরিত থাকে। রাজবন বিহার একটি মন্দির, যাকে হিন্দুরা কিয়াং বলে। রাজবন বিহার (Rajban Vihar) বিশেষ করে বৌদ্ধবিহার নামে বেশি পরিচিত। রাজবন বিহারে রয়েছে একটি নজর কাঁড়া সিঁড়ি, যা দেখামাত্র উঠতে মন চায় কিন্তু কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সিঁড়িতে ওঠা নিষিদ্ধ। এবং রাজবন বিহারের ভিতরে রয়েছে বৌদ্ধদের বিভিন্ন মূর্তি ও সুন্দর কারুকার্য।
ভ্রমণের জন্য রাঙামাটি গেলে রাজবন বিহার যেতে মিস করবেন নাহ। রাতের আধারে লাল নীল বাতিতে ঝলমল করে রাজবন বিহার। তাই রাজবন বিহারের আসল সৌন্দর্য রাতে দেখা যায়।
চাকমা রাজবাড়ী (Chakma Rajbari)
সুন্দর নকশায় দৃষ্টিনন্দন চাকমা রাজবাড়ী রাজবন বিহারের খুবই কাছে। চাকমা রাজবাড়ী রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে খুবই উল্লেখযোগ্য। ছোট্ট একটি দ্বীপে পুরনো রাজবাড়ীটি দেখলে আপনি আশ্চর্য হয়ে যাবেন।
চাকমা রাজবাড়ীর (Chakma Rajbari) ভিতরে রয়েছে উপজাতিদের বিচিত্র রকমের বিভিন্ন পোশাক। তাছাড়াও বিভিন্ন প্রাচীন নিদর্শন তো আছেই। সৌন্দর্যপূর্ণ এই বাড়িতে সরাসরি গাড়িতে যাওয়া যায় না। কারণ বাড়িটি ছোট্ট একটি দ্বীপের উপর অবস্থিত। তাই নৌকায় পার হয়ে যেতে হয় চাকমা রাজবাড়ীতে।
হাজাছড়া ঝরনা (Hajachara Waterfall)
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় অবস্থিত মন জুড়ানো হাজাছড়া ঝর্ণা। শহুরের মূল রাস্তার ভিতরে কাদামাটি রাস্তা পেরিয়ে হাজাছড়া ঝর্ণার নিকটে যেতে হয়। হাজাছড়া ঝর্ণার নিকটে যাওয়ার পর আপনার মন শান্ত হয়ে যাবে এবং প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। কারণ প্রকৃতির আসল সৌন্দর্য আপনাকে অবাক করতে বাধ্য করবে।
হাজাছড়া ঝর্নার (Hajachara Waterfall) আশেপাশের লোকজন হাজাছড়া ঝর্ণাকে ভালোবেসে 'চিত জুরানি থাংঝাং ঝরনা' নাম দিয়েছে। যার অর্থ হলো মন প্রশান্তি ঝরনা। হাজাছড়া স্থানে উৎপত্তি হওয়ায় বর্তমান মানুষ হাজাছড়া ঝর্ণা নামে ডাকে। বর্ষার মৌসুমে এই ঝর্না থেকে বেশি পানি নামে এবং শীতে তুলনামূলক কম পানি নামে। শীতকালে ঝর্নাটি শান্তশিষ্ট থাকলেও বর্ষাকালে তার মন খারাপ থাকে। তাই যেন সে বর্ষাকালে অঝোরে কাঁদে।
টুকটুক ইকো ভিলেজ (Tuk Tuk Eco Village)
উঁচুনিচু পাহাড়ের মাঝে গড়ে তোলা হয়েছে টুকটুক ইকো ভিলেজে। টুকটুক ইকো ভিলেজের সৌন্দর্যের কারণ রাঙামাটিতে বেশ জনপ্রিয়। এক একর বা দুই একর নয়, প্রায় পঞ্চাশ একর পাহাড়ি জমির উপর নির্মাণ করা হয়েছে আকর্ষণীয় টুকটুক ইকো ভিলেজ।
বেশ বড় পরিসরের এই ভিলেজ গড়ে তোলা হয়েছে সৃজনশীলতার আদলে। রাঙ্গামাটি উপভোগ করার জন্য টুকটুক ভিলেজটিতে (Tuk Tuk Eco Village) রয়েছে বেশ কিছু কাঠের কটেজ। এবং কটেজ গুলোতে রয়েছে ব্যাল-কনি। রাতে এই ব্যাল-কুনিতে বসে চাঁদের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
ফ্যামিলি, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে রাতে আড্ডা দেওয়ার জন্য রয়েছে প্রকৃতির মাঝে অনেকগুলো গোলাঘর। রাতের শুনশান নীরবতার মাঝে পোকামাকড়ের ডাকে গোলাঘর আড্ডা জমে বেশ। তাই রাঙামাটি ভ্রমণ করলে টুকটুক ইকো ভিলেজে যেতে ভুল করবেন না।
হ্যাপি আইল্যান্ড (Happy Island)
কাপ্তাই লেগের মাঝে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে অবস্থিত দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় হ্যাপি আইল্যান্ড। বর্তমানে পর্যটকদের পছন্দের কেন্দ্রবিন্দু এই হ্যাপি আইল্যান্ড। বছরের প্রায় ১২ মাস হ্যাপি আইল্যান্ডে (Happy Island) লোকে মুখরিত থাকে। ছোট্ট একটি দ্বীপের মাঝে ৪৫ শতক জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে হ্যাপি আইল্যান্ড। নীল রঙের পানির মাঝে দ্বীপে মাঝে মাছ আকৃতিতে গড়ে তোলা হয়েছে নান্দনিক একটি নগর।
লতাপাতা দিয়ে মোড়ানো এলাকাটিতে প্রবেশ করার পর প্রথমেই সেনাবাহিনীর করিডোর দেখতে পাবেন। তাছাড়াও রয়েছে ভাস্কর্য, স্পিড, রিসোর্ট, বাগান, প্যাডেল বোর্ড ইত্যাদি।
রাঙ্গামাটি ভ্রমণের উপযুক্ত সময়
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে সজ্জিত রাঙ্গামাটি বছরের প্রায় ১২ মাস ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত। তবে শীতের মৌসুমে পর্যটকে মুখরিত থাকে রাঙ্গামাটি। কারণ শীতের মৌসুমে রাঙামাটির প্রকৃতির রূপ দর্শনার্থীদের বিস্মিত করে। বিশেষ করে শীতের মৌসুমে পাখির কোলাহল এবং সবুজ পাহাড় দেখলে মনে হয় রাঙামাটি যেন আরেকটি গ্রহ।
আবার ঝর্নার সৌন্দর্য দেখতে চাইলে বর্ষাকালে ভ্রমণ করা শ্রেয়। কারণ শীতের মৌসুমে ঝর্নায় পানি থাকে না। রাঙ্গামাটি একের ঋতুতে একের রকমের সাজে সজ্জিত থাকে। তাই প্রায় সারা বছর রাঙ্গামাটি ভ্রমণের উপযুক্ত সময়।
রাঙ্গামাটি কিসের জন্য বিখ্যাত
প্রকৃতিময় জেলা রাঙ্গামাটি বিশেষ করে কাঁঠাল, আনারস, কলার জন্য বিখ্যাত। তবে রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থান গুলোর জন্য আরও বেশি খ্যাতি পেয়েছে। রাঙ্গামাটির সাজেক ভ্যালি, কাপ্তাই হ্রদ, ঝুলন্ত সেতু এবং রাজবন বিহার এই নাম গুলোর সাথে প্রায় সবাই পরিচিত। তাই রাঙামাটি যেমন কাঁঠাল, আনারস, কলার জন্য বিখ্যাত, ঠিক তেমনি দর্শনীয় স্থানগুলোর জন্যে বিখ্যাত।
যতই দিন যাচ্ছে রাঙ্গামাটির জনপ্রিয়তা তত বাড়ছে। কারণ এখন বেশিরভাগ মানুষ ভ্রমণ পিপাসু। প্রকৃতির মাঝে ভ্রমণের জন্য রাঙামাটি খুবই জনপ্রিয়।
রাঙ্গামাটি কিভাবে যাবেন
পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে আপনি নৌপথে ও স্থলপথে যেতে পারবেন। আপনার জেলা থেকে রাঙ্গামাটি কত দূর সেটা আগে গুগল ম্যাপে দেখে নিবেন। দূরত্ব দেখে সিদ্ধান্ত নিবেন, স্থল পথে যাবেন নাকি নৌপথে যাবেন৷ আপনার যদি নৌপথে যেতে সুবিধা হয়, তাহলে নৌপথে যাবেন। আর যদি স্থলপথে যেতে সুবিধা হয়, তাহলে স্থলপথে যাবেন।
ঢাকার ফকিরাপুল মোড়ে রাঙ্গামাটি গামী অসংখ্য বাস কাউন্টার রয়েছে৷ এই কাউন্টার গুলো থেকে টিকিট কেটে চলে যেতে পারবেন লাল মাটির নগরী রাঙ্গামাটিতে। এখানকার সকল বাসই সকাল ৮ হতে ৯ টা এবং রাত ৮:৩০ হতে ১১ টার মধ্যে ঢাকা ছাড়ে। ঢাকা থেকে রাঙ্গামাটি বাস ভাড়া পড়বে এসি ৯০০ টাকা, বিআরটিসি এসি ৭০০ টাকা, নন এসির সকল বাস ৬২০ টাকা।
রাঙ্গামাটি ভ্রমণ খরচ ২০২৫
খুবই অল্প খরচে ভ্রমণ করতে পারবেন রাঙ্গামাটি জেলার বিখ্যাত স্থান গুলোতে। যাদের ভ্রমণ বাজেট কম তাদের জন্য রাঙ্গামাটি বেস্ট একটি অপশন। তবে একেক স্থানে একের রকমের খরচ পড়বে৷ আপনি চাইলে বেশি টাকা খরচ করে উন্নত রিসোর্টে থাকতে পারবেন আবার বাজেট কম হলে একটু নিম্নমানের রিসোর্টেও থাকতে পারবেন।
সেটা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করবে। একলা ভ্রমণ করার চেয়ে, একসাথে অনেকজন ভ্রমণ করার চেষ্টা করবেন, এতে ভ্রমণ খরচ কম পড়বে।
রাঙ্গামাটি হোটেল এবং রিসোর্ট মূল্য
শেষ কথা: রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থান
ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের জন্য রাঙ্গামাটি একটি সেরা জায়গা। প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ রাঙামাটি জেলায় ভ্রমণ করতে আসে। কারণ রাঙামাটি সৌন্দর্য সকলকে মুখরিত করে। তাই মানুষ প্রকৃতির টানে,সবুজের মায়ায় রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থান গুলোতে ছুটে আসে।
আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থান গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যারা রাঙামাটি ভ্রমণ করতে যেতে চান, আশা করি তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি বেশ কাজে দিবে। ধৈর্য সহকারে পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ধীরে স্থিরে রাস্তা পারাপার হন,অবশ্যই সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ভ্রমণ করুন।
রাঙামাটির দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর / FAQ
১. রাঙ্গামাটি কি জন্য বিখ্যাত?
উত্তর :- বাংলাদেশের বৃহত্তম কাগজ কল, কর্ণফুলী কাগজ কল, দেশের বৃহত্তম পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র, কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র, ঘাগড়া বস্ত্র কারখানা, রেয়ন কল, উপজাতীয় বেইন শিল্প, বাঁশ ও বেতের হস্তশিল্প, হাতির দাঁত শিল্প ইত্যাদি রাঙ্গামাটি জেলায় রয়েছে।
২. রাঙ্গামাটির সবচেয়ে সুন্দর জায়গা কোনটি?
উত্তর :- রাঙ্গামাটির পাহাড়ে পাহাড়ে নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করার মত রয়েছে অনেক জায়গা, যেমন-কাপ্তাই হ্রদ, শুভলং ঝর্ণা, ধুপপানি ঝরনা, ঝুলন্ত সেতু, ফুরোমন পাহাড়, রাজবন বিহার ইত্যাদি।
৩. রাঙ্গামাটি জেলায় বাংলাদেশের সীমানা কোন দুটি দেশের সাথে অবস্থিত?
উত্তর :- এর উত্তরে অবস্থিত রয়েছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, দক্ষিণে রয়েছে বান্দরবান জেলা, পূর্বে ভারতের মিজোরাম রাজ্য ও মায়ানমারের চীন রাজ্য, পশ্চিমে খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম জেলা অবস্থিত। বাংলাদেশের একমাত্র জেলা রাঙ্গামাটি, যেখানে দুইটি দেশের সাথে আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে যেমন-ভারত ও মায়ানমার।
৪. রাঙ্গামাটি থানার নাম কি?
উত্তর :- রাঙ্গামাটি থানার নাম কোতোয়ালী থানা, বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার অন্তর্গত রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার একটি থানা।
৫. চট্টগ্রাম থেকে রাঙ্গামাটি বাস ভাড়া কত?
উত্তর :- চট্টগ্রাম থেকে রাঙ্গামাটির দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার। চট্টগ্রামের অক্সিজেন মোড় থেকে রাঙ্গামাটির বাস ছেড়ে যায়, জনপ্রতি বাস ভাড়া পড়বে ২৮০ টাকা।
সৌমিক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url