রাত জেগে স্মার্টফোন ব্যবহারে কি কি ক্ষতি হয়
মোবাইল ফোনের ব্রাইট আমাদের সুখের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। মোবাইল ফোন যে নীল আলো দেয়, রুমের লাইট নিভিয়ে দেয়ার কারণে রাতে সেটি আরও তীক্ষ্ণ হয়ে যায়। এটি শুধু দৃষ্টিশক্তির ক্ষতিই করে না, পাশাপাশি শরীরের ওপর বেশ ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে থাকে।
আমাদের আজকের পোস্টের মূল বিষয় হচ্ছে রাত জেগে স্মার্ট ফোন ব্যবহারে কি কি ক্ষতি হয় এবং স্মার্ট ফোন ব্যবহারের আরও বিভিন্ন তথ্য। তো আসুন প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক রাত জেগে স্মার্টফোন ব্যবহারে কি কি ক্ষতি হয়।
রাত জেগে স্মার্টফোন ব্যবহারে কি কি ক্ষতি হয়
রাত জেগে স্মার্ট ফোন ব্যবহারে কি কি ক্ষতি হয় - স্মার্ট ফোন যেমন এই তথ্যপ্রযুক্তির যুগে সব ধরনের কাজকে অগ্রসর করে দিচ্ছে ঠিক তেমনি সুবিধার সাথে সাথে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীকে হতে হচ্ছে নানার ক্ষতির সম্মুখীন। স্মার্টফোন ব্যবহারে সেরকমই কিছু ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে -
- ১) প্রতি রাতে মানুষের ৭-৮ ঘণ্টার পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। স্মার্টফোনের নীল আলো শরীরে মেলাটোনিন হরমোন উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব ফেলে।
- ২) বর্তমানে অনেকেই দেখা যায় না ঘুমিয়ে মোবাইল ব্যবহার করছে। রাতে ঘুমানোর আগে যারা স্মার্টফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকে, তাদের ঘুম কমে যেতে পারে ধীরে ধীরে। এতে মস্তিষ্ক ও মনের নানান ধরনের ক্ষতি হয়ে থাকে।
- ৩) যখন রুম অন্ধকার থাকে তখন মোবাইলের আলো চোখের বেশি ক্ষতি করে। রাতে ঘরের আলো নেভানোর পর স্মার্টফোনের নীল আলোতে সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্ত হয়ে পড়েন অনেকে। এতে মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর আলো সরাসরি চোখে আঘাত ফেলে। ফলে চোখের কোষের ক্ষতি হয় ও চোখে ব্যথা অনুভব হয়ে থাকে।
- ৪) স্মার্ট ফোন আমাদের চোখের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আমেরিকান ম্যাকিউলার জনস অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, মোবাইল ফোনের নীল আলো রেটিনার স্থায়ী ক্ষতি করে অন্ধত্বের দিকে ঠেলে দেয় আস্তে আস্তে।
- ৫) রাত জেগে স্মার্টফোন ব্যবহার করা ঠিক না। এতে আপনি রাত জেগে স্মার্ট ফোন ব্যবহার করলে ঘুম থেকে বঞ্চিত হবেন। ফলে মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হয়েও যেতে পারে। এছাড়া ঘুমের অভাবে চিন্তা শক্তি ও শারীরিক শক্তিও আপনার কমে চাইতে পারে।
- ৬) মোবাইল ফোন আমাদের অনেক রোগের কারণ হয়ে থাকে। মোবাইল ফোন ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন ছড়ায়, যা কয়েক ধরনের ক্যান্সারসহ নানান রোগের কারণ হতে পারে।
- ৭) বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ রাত জেগে স্মার্ট ফোন ব্যবহার করেন।অনিদ্রার কারণে শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে আসে। বেশি স্মার্ট ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে দাম্পত্য কলহও বাঁধতে পারে এর ফলে। খিটখিটে মেজাজের ফলে বহুদিনের সম্পর্ক ভেঙেও রায়।
- ৮) অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ইউজ করায় আমাদের চোখের নিচে ডার্কের পড়ে যায়, ফোলা ভাব এর কারণেই হয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকি যৌন উত্তেজনাও কমে আসে এই স্মার্টফোনের কারণে।
স্মার্টফোনে আসক্তি এবং ক্ষতিকর দিক
রাত জেগে স্মার্ট ফোন ব্যবহারে কি কি ক্ষতি হয় - প্রযুক্তির বিকাশ এবং দৈনন্দিন যোগাযোগের অগ্রগতির লক্ষে স্মার্টফোনের ভূমিকা অতুলনীয়। তাছাড়া স্মার্টফোন দিয়ে সব ধরনের কাজ সহজেই করে ফেলা সম্ভব। কম্পিউটারের অনেক সফটওয়্যার আছে যেগুলো স্মার্টফোনে ব্যবহার করা হয়।
তবে স্মার্টফোন যে কম্পিউটারের সমতুল্য সেটা বলা উচিত নয়, কিন্তু কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে। প্রতিদিন আমাদের স্মার্টফোন যতটুকু ব্যবহার করা দরকার তার চেয়েও বেশি আমরা ব্যবহার করি।
ফেসবুক ইউটিউব ইনস্টাগ্রাম সহ আরো অনেক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রয়েছে,যেগুলো আমরা দিনের অর্ধেক সময় ব্যয় করে ফেলি। এমন কিছু অনলাইন গেইম রয়েছে যেগুলোতে উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের প্রচুর আসক্তি রয়েছে।
ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে আজকে সহজেই যে কারো ক্ষতি সাধন করা সম্ভব। ছোট ছোট বাচ্চা ছেলেদের হাতেও আজকাল স্মার্টফোন ধরিয়ে দেয়া হয় ফলে তাদের মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশ ঘটেনা। একটানা গেমস খেললে চোখের ক্ষতি হয় শরীরের সঠিক বিকাশ হয় না।
অনেকে এমনও আছে যারা ঠিকঠাক দিনের সূর্যটাও দেখে না,সারাক্ষণ শুধু মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকে। ইন্টারনেটের অন্ধকার জগতে অনেক ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটে চলেছে যাকে সাইবার ক্রাইম বলা হয়। ইন্টারনেটের সবথেকে ভয়ংকর এবং খারাপ দিক হচ্ছে পর্ণ সাইট গুলো।
এখন রীতিমতো কমবয়সী কিশোর-কিশোরী’রা এতে পুরোপুরি আসক্ত হয়ে আছে। এই কারণে দেশের সর্বত্রই কিশোররা উন্মাদ হয়ে আছে, ধর্ষণ খুব বেড়ে গেছে। ইন্টারনেটের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার এবং স্মার্টফোনের সহজলভ্যতার কারণে আজকে এই অবস্থা।
তাই আমাদেরকে মোবাইলের অপব্যবহার এবং এর আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। অপরাধমূলক কাজ করা যাবেনা, পর্ণ সাইট থেকে দূরে থাকতে হবে ও বাচ্চাদের স্মার্টফোন থেকে দূরে রাখতে হবে। আমরা যদি প্রযুক্তির ভালো দিকগুলোকে ব্যবহার করি তবে প্রযুক্তিও আমাদের কোনো ক্ষতি করবেনা।
দিনে কত ঘণ্টা মোবাইল চালানো উচিত
রাত জেগে স্মার্ট ফোন ব্যবহারে কি কি ক্ষতি হয় - একটি গবেষণা থেকে জানা গেলো যে, মানুষের একদিনে সর্বোচ্চ ৩ ঘণ্টা মোবাইল ব্যবহার করা উচিত। এতে করে ব্যবহারকারীর চোখের বা স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি হয়না।
কেননা আমরা প্রয়োজনে দেশ বিদেশের অনেক আত্মীয়র সাথে মোবাইলে কথা বলি, এর বাইরে মোবাইলে আমাদের আর অন্য কোনো কাজ থাকেনা। বাকি যে সময়টা আমরা সোশ্যাল মিডিয়া বা অনলাইন গেমস খেলে ব্যয় করি সেটা আমাদের খুব বেশি ক্ষতি করে।
যেমন ধরুন দিনের ১০ ঘণ্টা আপনি মোবাইল ব্যবহার করলেন। তাতে দেখা গেলো আপনি সারাদিনে মাত্র ১ ঘণ্টা কারো সাথে কথা বললেন। বাকি ৯ ঘণ্টা আপনি অন্য কাজে ব্যয় করলেন,যা মোট ব্যবহারের ১০ ভাগের এক ভাগ। শরীরের ক্ষয়ক্ষতির কথা চিন্তা করে মোবাইলের ব্যবহারটা কমিয়ে ফেলা ভালো। দৈনিক ২-৩ ঘণ্টা করে মোবাইল ব্যবহার করলে আপনি প্রযুক্তির ভালো দিকগুলো পাবেন।
ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা
রাত জেগে স্মার্ট ফোন ব্যবহারে কি কি ক্ষতি হয় - এখন স্কুলেও দেখা যায় প্রত্যেকের হাতে একটি করে স্মার্টফোন। একজন ছাত্রের মোবাইল ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক নয় বলে আমি মনে করি। কেননা কেবল অনলাইনে ক্লাস হলে তখনই এই মোবাইলের দরকার হবে তার জন্য।
আবার কখনো কোনো ইলেকট্রনিক-বুক নিয়ে মোবাইলে পড়লে সেটাও ঠিক আছে। কিন্তু খুব বেশি সময় ধরে ব্যবহার করা একদম উচিত নয়। সেক্ষেত্রে কিছু জিনিস খেয়াল রাখা উচিত।
উদাহরণঃ মোবাইল আমরা অনেককে ব্যবহার করি। স্মার্টফোনের ভালো দিক আছে এবং অনেক খারাপ দিক আছে। আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। সে মোবাইলের অতিরিক্ত বা অপব্যবহার করছে কিনা, কোনো অনলাইন গেমসে আসক্ত হয়েছে কিনা, সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি সময় দিচ্ছে কিনা এসব বিষয়েও লক্ষ্য রাখা উচিত।
কারণ অনেক সময় দেখা যায় ছাত্ররা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি সময় দিচ্ছে, যার কারণে তার লেখাপড়ার প্রতি মনোযোগ কমে আসে ।খুব বেশি সময় ধরে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করলে এক প্রকার আসক্তি চলে আসে। কোন প্রয়োজনীয় দরকার ছাড়া মোবাইল হাতে নেওয়ারও প্রয়োজন নেই, বড় কোনো দুর্যোগ দেখা দিলে তখন অনলাইনে পাঠদানের প্রয়োজন পড়ে থাকে।
শুধুমাত্র ওই দুর্যোগ কালে ক্লাসে অংশগ্রহণ করার জন্য একটি স্মার্টফোন থাকা জরুরী। এখন সবথেকে ভয়ের ব্যাপার হচ্ছে কোনো ছাত্র অনলাইন গেমে আসক্তি কিনা সেই ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।
বর্তমান সময়ে অনলাইন গেম আসক্তি এতটাই বেড়ে গেছে যে , অন্যান্য সকল নেশাজাত দ্রব্যের ন্যায় কাজ করে অনলাইন গেইমের আসক্তি। ছাত্র থাকা অবস্থায় মোবাইলে গেমস খেলে সময় কাটানো উচিত নয়। প্রয়োজন পড়লে বিকেলে মাঠে গিয়ে ক্রিকেট বা ফুটবল খেলুন।
একজন ছাত্র অবশ্যই সে অপ্রাপ্তবয়স্ক হবে, এই অল্প বয়সে ইন্টারনেটে ঘাটাঘাটি করে যদি চালাক হয়ে যায়, সে পর্ণ দেখা শুরু করে দিতে পারে, যার ফলে তার লেখাপড়া বরবাদ হবে এবং ভবিষ্যতে সে সমাজের জন্য বিপদজনক হয়ে যাবে।
শেষকথা: রাত জেগে স্মার্টফোন ব্যবহারে কি কি ক্ষতি হয়
বর্তমানে সাধারণত সবাই রাত জেগে স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। রাতের বেলার শুয়ে স্মার্ট ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারই ডেকে আনছে বিপত্তি। কারণ ফোনের ওই নীল রং মস্তিষ্কের কাজে বাধা দেয়। ফলে ঘুম আসতে দেরি হয়। এছাড়াও চোখের মধ্যে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয়। ই-বুকে এক লাইন পড়তে যে সময় লাগে, বই পড়তে তার চেয়ে অনেক কম সময় লাগে।
আশা করছি আমাদের আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি জানতে পেরেছেন রাত জেগে স্মার্টফোন ব্যবহারে কি কি ক্ষতি হয় সহ স্মার্টফোনের আরো বিভিন্ন তথ্য। এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। প্রয়োজন ছাড়া অতিরিক্ত মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্ত হয়ে যাবেন না। এতে করে মনের এবং শরীরের দুটিরই ক্ষতি হবে। এবং বাস্তব জীবনের খারাপ প্রভাব পড়বে।
রাত জেগে স্মার্টফোন ব্যবহারে কি কি ক্ষতি হয় সেই সংক্রান্ত কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর / FAQ
প্রশ্ন ১: ঘুমানোর আগে মোবাইল ব্যবহার করলে কি ঘুমের ক্ষতি হয়?
উত্তর:- অবশ্যই। রাতের বেলা ফোনের স্ক্রিন ব্যবহার ঘুমের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বিছানায় ফোন ব্যবহার করলে পড়ে যাওয়া ও ঘুমিয়ে থাকা কঠিন হয়ে উঠে। এবং আপনার স্বাভাবিক ঘুমের চক্রকে ব্যাহত করতে পারে। শরীরের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ঘুম দেওয়া আপনার সামগ্রিক,মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য পরিহার্য। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে ঘুমানোর আগে মোবাইল ব্যবহার না করাই ভালো।
প্রশ্ন ২: ঘুমানোর কতক্ষণ আগে মোবাইল ব্যবহার করা বন্ধ করা উচিত?
উত্তর:- ঘুমানোর অত্যন্ত এক ঘণ্টা আগে স্ক্রিন সম্পর্কিত কার্যকলাপ গুলি থামিয়ে দিলে আপনার মস্তিষ্ককে শান্ত হওয়ার সুযোগ দেয়। এবং আপনার শরীর বার বার আপনাকে সংকেত দেয় যে এটি ঘুমানোর সময়।
প্রশ্ন ৩: প্রতিদিন রাতে ফোন বন্ধ রাখা কি ভালো?
উত্তর:- ঘুমানোর আগে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দিলে দ্রুত ঘুম আসে, আপনার ঘুমের উন্নতি ঘটাতে পারে। প্রযুক্তি থেকে বিরতি নেওয়া মানসিক চাপ কমাতে এবং শিথিলতাকে উন্নীত করতে পারে।
প্রশ্ন ৪: স্মার্টফোন কি ঘুমের উপর প্রভাব ফেলে?
উত্তর:- আমাদের মস্তিষ্ক আলোর প্রতি খুবই সংবেদনশীল। তাছাড়া স্মার্টফোন এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে নির্গত নীল আলো মেলাটোনিন উৎপাদনে বিলম্ব করে। মেলাটোনিনের অভাব ঘুমিয়ে পড়া কঠিন করে তুলতে পারে। যা সময় যাওয়ার সাথে সাথে অনিদ্রা এবং ক্লান্তি হয়ে উঠতে পারে।
প্রশ্ন ৫: কিভাবে ইলেকট্রনিক্স ঘুম প্রভাবিত করে?
উত্তর:- শোতে যাবার আগে স্ক্রিন টাইম ঘুমিয়ে পড়তে, ঘুমের মান হ্রাস করতে এবং পরের দিন আপনার মনোযোগকে প্রভাবিত করতে পারে। দীর্ঘদিনের অভ্যাসে, সন্ধ্যায়, রাতে আলোর সংস্পর্শে কিছু ঘুমের ব্যাধি হয় এবং তা ক্যান্সারের ও ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
প্রশ্ন ৬: মাথার কাছে মোবাইল রেখে ঘুমানো যাবে কি?
উত্তর:- রাতের বেলা এয়ারপ্লেন মোডে না থাকা ফোন মাথায় রেখে ঘুমানো খুবই খারাপ ধারণা। আপনি ফোন কল না নিলেও ফোনগুলি এখনও প্রতি কয়েক সেকেন্ডে সেল টাওয়ারে পিং করছে, তাই মাইক্রোওয়েভ বিকিরণ এখনও আপনার মাথার খুব কাছাকাছি নির্গত হচ্ছে। তাই অবশ্যই মাথার কাছে মোবাইল রেখে ঘুমানো ঠিক না।
সৌমিক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url