থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা: অযত্নে বেড়ে ওঠা থানকুনি পাতা একটি ভেষজ উদ্ভিদ। বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলে পুকুরপাড়ে, বাড়ির আশেপাশে বা রাস্তার পাশে থানকুনি পাতা দেখা যায়। তবে বর্তমানে শহর অঞ্চলেও এখন কিছু যায়গায় থানকুনি পাতা চাষ করা হয়। আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে থানকুনি পাতার উপকারিতা বেশ লক্ষ্য করা যায়।
থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
সূচিপত্র:আধুনিক ঔষধের চেয়ে প্রাকৃতিক ঔষধ উত্তম। কারণ আধুনিক ঔষধে side effect লক্ষ্য করা গেলেও প্রাকৃতিক ঔষধে কোনো side effect থাকে না। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রাকৃতিক ভেষজ উদ্ভিদের জুড়ি নেই।

ভূমিকা

থানকুনি পাতার উপকারিতা ও উপকারিতা আমাদের অনেকের অজানা। কারণ প্রাকৃতিক ঔষধের উপর বর্তমান সমাজ উদাসীন। সবাই আধুনিকতার উপর নির্ভরশীল। অথচ প্রাকৃতিক ঔষধ মানবদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। থানকুনি পাতার ঔষধি গুন জানলে আপনি সত্যিই অবাক হবেন।

তাই আজকে আমরা চুলের জন্য থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা, থানকুনি পাতার ব্যবহার, থানকুনি পাতা চেনার উপায়, থানকুনি পাতা কিভাবে খেতে হয়, থানকুনি পাতা চিবিয়ে খেলে কি হয় ও চুলের জন্য থানকুনি পাতার উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করবো।

আপনি যদি স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে থাকলে, থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন। আজকে আমরা থানকুনি পাতার সকল গুণাগুণ নিয়ে আলোচনা করবো। তাই ধৈর্য সহকারে আজকের পোস্টটি শুরু থেকে শেষ অবধি পড়ুন।

থানকুনি পাতার বৈজ্ঞানিক নাম

ঔষধি গুণে গুণান্বিত থানকুনি পাতা রোগ নিরাময়ে বেশ কার্যকরী। প্রাচীন কাল থেকেই মানুষের খাদ্য তালিকায় রয়েছে থানকুনি পাতা। বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় থানকুনি পাতা বেশি লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে এশিয়া মহাদেশে থানকুনি পাতার প্রচলন বেশি।

থানকুনি পাতার বৈজ্ঞানিক নাম Centella asiatica, ছোট ভেষজ উদ্ভিদ থানকুনি পাতার বৈজ্ঞানিক পরিবারের নাম ম্যাকিনলেয়াসি৷ ম্যাকিনলেয়াসি পরিবারের সকল উদ্ভিদ ছোট বর্ষজীবী। ম্যাকিনলেয়াসি পরিবারকে এপিকেসি পরিবারের উপপরিবারও বলা হয়।

থানকুনি পাতা কিভাবে খেতে হয়

ঔষধি উদ্ভিদ থানকুনি পাতা আমাদের দেহের জন্য বেশ উপকারী। গত কয়েক বছরের আগের তুলনায় বর্তমানে মানুষ থানকুনি পাতার সাথে অপরিচিত। তাই অনেকেই থানকুনি পাতা কিভাবে খেতে হয় জানে না।
তাই আজকে থানকুনি পাতা খাওয়ার নিয়মিত ও থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আলোচনা করবো। আপনাদের সুবিধার জন্য নিচে থানকুনি পাতা খাওয়ার নিয়ম ধাপে ধাপে উল্লেখ করা হলো।
  • থানকুনি পাতা ভর্তা করে খেতে পারেন।
  • থানকুনি পাতা ব্লেন্ডারে দিয়ে রস করে খেতে পারেন।
  • থানকুনি পাতা কুচি করে কেটে পানির সাথে মিক্স করে খেতে পারেন।
  • থানকুনি পাতা তরকারির সাথে দিয়ে খেতে পারেন।
থানকুনি পাতা বিশেষ করে ভর্তা করে খাওয়াই হয় বেশি। আবার তরকারির স্বাদ বৃদ্ধি করার জন্যও তরকারির সাথে খাওয়া হয়। তরকারি রান্না করার সময় তরকারির ভিতর থানকুনি পাতা দিলে আলাদা একটা সুঘ্রাণ আসে। আশা করি থানকুনি পাতা কিভাবে খেতে হয় জেনে গেছেন।

থানকুনি পাতা চেনার উপায়

থানকুনি পাতা আমাদের বাড়ির আশেপাশে বেশি জন্মায়। কিন্তু আমরা অনেকেই থানকুনি পাতা চিনি নাহ, যার কারণে থানকুনি পাতার উপকারিতা থেকে আমরা অনেকেই বঞ্চিত হই। তাই আজকে আমি থানকুনি পাতা চেনার উপায় বলে দিবো।

থানকুনি পাতাগুলো ছোট পয়সার মতো। দেখতে অনেকটা বন গাছের মতো। থানকুনি পাতা লতা বেয়ে বেয়ে হয় এবং স্বাদ তেতো। এক জায়গায় অনেক গুলো থানকুনি পাতা হয়। এই লক্ষণ গুলো দেখে থানকুনি পাতা শনাক্ত করবেন। এতক্ষণে থানকুনি পাতা চেনার উপায় জেনে গেছেন।

থানকুনি পাতার ব্যবহার

বাড়ির আঙিনায় জন্ম নেওয়া থানকুনি পাতা অনেক ভাবে ব্যবহার করা যায়। ক্ষত স্থানে থানকুনি পাতার পেস্ট ব্যবহার করলে ক্ষত নিরাময় হয়। আবার থানকুনি পাতা সিদ্ধ করে ভর্তা বানিয়ে খাওয়া যায়।

থানকুনি পাতা ভর্তা বেশি স্বাদের। তাই আমাদের দেশের মানুষ থানকুনি পাতা ভর্তা করে খেতে বেশি পছন্দ করে। আশা করি থানকুনি পাতার ব্যবহার জেনে গেছেন। এখন নিচে দেওয়া থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন।

থানকুনি পাতার উপকারিতা

ঔষধি গুনে গুণান্বিত থানকুনি পাতার উপকারিতা অনেক। আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রের মতে বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে থানকুনি পাতার জুড়ি নেই। অথচ বাড়ির আশেপাশে বেড়ে ওঠা থানকুনি পাতাকে আমরা অবহেলা করি। তাই আজকে থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। নিচে ধাপে ধাপে থানকুনি পাতার উপকারিতা উল্লেখ করা হলো।

থানকুনি পাতা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

মানুষের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে। যার কারণে শরীরে রোগের বাসা বাঁধে। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আমাদের খাদ্য তালিকায় সুষম খাদ্য রাখা জরুরি। থানকুনি পাতা ভেষজ উদ্ভিদ।
নিয়মিত থানকুনি পাতার রস পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শরীর সুস্থ রাখে। থানকুনি পাতার রসের সাথে মধু মিক্স করে খাবার চেষ্টা করুন, এতে আরও বেশি উপকারিতা লক্ষ্য করতে পারবেন।

থানকুনি পাতা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে

হজম শক্তি দুর্বলের কারণে শরীরে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। যার কারণে আমরা অসুস্থতায় ভুগি। তাই আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য নিয়মিত পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন। থানকুনি পাতা হচ্ছে ঔষধি উদ্ভিদ। নিয়মিত থানকুনি পাতার রস বা থানকুনি পাতার ভর্তা খেলে, হজম শক্তি বৃদ্ধি পেতে থাকে৷ তাই দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় থানকুনি পাতা রাখার অভ্যাস করা উত্তম।

থানকুনি পাতা কাশি নিরাময় করে

ঠাণ্ডা জনিত সমস্যা অনেকের ১২ মাস লেগে থাকে। মধুর সাথে থানকুনি পাতার রস মিক্স করে খেলে ঠাণ্ডা জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আবার কাশি নিরাময়েও থানকুনি পাতা অধিক কার্যকরী।

কাশির জন্য যদি বিভিন্ন ঔষধ খেয়েও মুক্তি না পান, তাহলে থানকুনি পাতার রস বা তুলসি পাতার রস খেয়ে দেখতে পারেন। কারণ বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে থানকুনি পাতা রস বা তুলসি পাতার রস কাশি নিরাময় করে।

থানকুনি পাতা আমাশয় দূর করে

আমাশয় সমস্যা দূর করতে থানকুনি পাতা অধিক কার্যকরী। ডাক্তাররা আমাশয় দূর করতে থানকুনি পাতার রস খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আমাশয় থেকে মুক্তি পেতে থানকুনি পাতার রস, সকালে খালি পেটে পান করাই ভালো। থানকুনি পাতা তেতো থাকার কারণে মধু বা চিনি মিশিয়েও খেতে পারেন। আমাশয় থেকে মুক্তি পেতে চাইলে খালি পেটে টানা ৬/৭ দিন থানকুনি পাতার রস পান করুন।

থানকুনি পাতা ক্ষত নিরাময় করে

শরীরের ক্ষত নিরাময়ে থানকুনি পাতা বেশ কার্যকরী। বেখেয়ালির কারণে অনেক সময় আমাদের হাত কেটে গেলে বা পুরে গেলে, থানকুনি পাতা বেটে ক্ষত স্থানে লাগিয়ে দিন। কারণ কেটে যাওয়া যায়গায় রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে এবং ক্ষত স্থান শুকাতে থানকুনি পাতার উপকারিতা অভাবনীয়।

থানকুনি পাতা খেলে ফর্সা হয়

ত্বকের সৌন্দর্যের জন্য বিভিন্ন বিউটি প্রডাক্ট ব্যবহার করা হয়। কৃত্রিম এই প্রডাক্ট গুলোর আবার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও রয়েছে। কিন্তু প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের যত্ন নিলে কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে না।
থানকুনি পাতায় রয়েছে বিটা ক্যারোটিন এবং অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা ত্বকের হারিয়ে যাওয়া সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনে। ত্বক মলিন ও উজ্জ্বল রাখতে থানকুনি পাতার জুড়ি মেলা ভার। তাই ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে থানকুনি পাতা ব্যাবহার করুন।

থানকুনি পাতা নিদ্রায় সাহায্য করে।

বিভিন্ন টেনশনে আমরা নিদ্রাহীনতায় ভুগি। অনিদ্রার কারণে শারীরিক ও মানুষিক অবস্থার অবনতি হয়। আর এই অনিদ্রা দূর করতে থানকুনি পাতা বেশ কার্যকরী। আপনি যদি অনিদ্রায় ভুগেন, তাহলে নিয়মিত থানকুনি পাতার রস সেবন করুন।

থানকুনি পাতার সাথে মধু মিশিয়ে খেলে বেশি উপকার পাবেন। তাই অনিদ্রা থেকে মুক্তির জন্য থানকুনি পাতার রসের সাথে মধু মিশিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন। দেখবেন কিছু দিনের মধ্যেই অনিদ্রা দূর হয়ে যাবে।

পেটের সমস্যায় থানকুনি পাতা

ভেষজ উদ্ভিদ থানকুনি পাতা পেটের সমস্যা সমাধানে কাজ করে। অনেক সময় বিভিন্ন অপুষ্টিকর খাবার খাওয়ার কারণে পেটে সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে থানকুনি পাতার রস সেবন করুন। কারণ থানকুনি পাতা অনেক গুনে গুণান্বিত উদ্ভিদ।

যা পেটের সমস্যা সমাধান সহ বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে। আবার অতিরিক্ত থানকুনি পাতা খাওয়ার ফলে পেটে সমস্যাও হতে পারে।

চুলের জন্য থানকুনি পাতার উপকারিতা

আপনার কি চুল পড়ে যাচ্ছে? বিভিন্ন ঔষধ বা তেল ব্যবহার করেও চুল পড়া বন্ধ করতে পারছেন না? তাহলে প্রাকৃতিক উপায়ে থানকুনি পাতার পেস্ট ব্যবহার করে দেখতে পারেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে থানকুনি পাতা চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে। চুল পড়া প্রতিরোধে থানকুনি পাতা বেটে পেস্ট তৈরি করে চুলে ব্যবহার করে দেখতে পারেন। কারণ চুলের জন্য থানকুনি পাতার উপকারিতা অনেক।

থানকুনি পাতা চিবিয়ে খেলে কি হয়

ঔষধি উদ্ভিদ থানকুনি পাতা অনেক ভাবে খাওয়া যায়। এই যেমনঃ থানকুনি পাতা ভর্তা করে খাওয়া যায়, আবার থানকুনি পাতার রসের সাথে মধু মিক্স করে শরবত বানিয়েও খাওয়া যায়। কিন্তু অনেকেই থানকুনি পাতা চিবিয়ে খেলে কি হয় ? জানতে চেয়েছেন।

থানকুনি পাতা চিবিয়ে খেলে বেশ উপকারিতা আছে। থানকুনি পাতা চিবিয়ে খেলে আলসার, চর্মরোগ, একজিমা রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে থানকুনি পাতা তেতো থাকার কারণে চিবিয়ে খাওয়া কষ্টকর। তাই থানকুনি পাতার ভর্তা বানিয়ে খাওয়াই ভালো।

থানকুনি পাতার অপকারিতা

আপনারা সকলেই জানেন, কোনো কিছুই অতিরিক্ত ভালো না। প্রয়োজনের বেশি সব কিছুই অমঙ্গল ডেকে আনে। ঠিক তেমন থানকুনি পাতার যেমন উপকারিতা আছে ঠিক তেমনি কিছু অপকারিতাও আছে। উপরে থানকুনি পাতার উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করেছি, এখন থানকুনি পাতার অপকারিতা নিয়ে আলোচনা করবো।

থানকুনি পাতা বেশি খাওয়া ফলে পেট ব্যথা হতে পারে, মাথা ব্যথা হতে পারে এবং এলার্জিও হতে পারে। তাই থানকুনি পাতার উপকারিতা পেতে চাইলে পর্যন্ত পরিমাণে খেতে হবে। লিভারে সমস্যা বা অপারেশনের রুগীরা থানকুনি পাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

শেষকথা

অবহেলায় বেড়ে ওঠা থানকুনি পাতা আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। তাই নিয়মিত থানকুনি পাতা খাওয়ার চেষ্টা করুন। স্বাস্থ্যই সম্পদ। তাই শরীর সুস্থ রাখতে সর্বদা খাদ্য তালিকায় সুষম খাদ্য রাখার চেষ্টা করবেন।

এতক্ষণ আমরা থানকুনি পাতার বৈজ্ঞানিক নাম,থানকুনি পাতা কিভাবে খেতে হয়, থানকুনি পাতার ব্যবহার, থানকুনি পাতা চেনার উপায়, পেটের সমস্যায় থানকুনি পাতা, চুলের জন্য থানকুনি পাতার উপকারিতা, থানকুনি পাতা চিবিয়ে খেলে কি হয় এবং থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আলোচনা করেছি।

আশা করি থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে গেছেন। দীর্ঘ সময় ধরে পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর এরকম আর্টিকেল পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।

থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর / FAQ

১. থানকুনি পাতা কি কি উপকার করে?

উত্তর: থানকুনি পাতা খুবই উপকারী একটি পাতা। যেকোন পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে থানকুনি পাতার বিকল্প নেই, ত্বকের সতেজতা ফিরিয়ে আনতে থানকুনি পাতা খুবই উপকারী, আলসার, এগজিমা, হাঁপানি সহ নানা চর্মরোগ সেরে যায় থানকুনি পাতা খেলে, অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়, মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায় আরও অনেক ধরনের সমস্যার সমাধান হয় থানকুনি পাতার ফলে।

২. থানকুনি পাতার ব্যবহার অংশ কোনটি?

উত্তর: থানকুনি পাতাটাই ব্যবহার অংশের মূল, বাংলাদেশ খুবই প্রচলিত একটি ঔষধি উদ্ভিদ থানকুনি পাতা। এটার পাতা বেটে বা ভর্তা করে খাওয়া যায় এমনকি পেটের সমস্যার জন্য পাতার রসও খাওয়া যায়। কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে, চুল পড়া কমায়, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, ক্ষত নিরাময়ে সহায়তা করে।

৩. থানকুনি পাতা কি?

উত্তর: বাংলাদেশ এবং ভারতের সেন্টেলাকে থানকুনি পাতা বলা হয়। তাছাড়া এটা বিভিন্ন ধরনের খাবারেও ব্যবহার করা হয় এবং পাতা দিয়ে ভর্তা বানিয়েও খাওয়া হয়।

৪. থানকুনি পাতা meaning in English.

উত্তর: Centella asiatica যাকে Asiatic বা Indian pennywort নামেও ডাকা হয়। থানকুনি পাতা বাংলাদেশের অন্যতম একটি ঔষধি গাছ। এটি রন্ধন সম্পর্কীয়, ঔষধি এবং কিছু ক্ষেত্রে আধ্যাত্মিক সহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবহার করা হয়।

৫. থানকুনি পাতা কিভাবে খেতে হয়?

উত্তর: ভিয়েতনাম এবং থাইল্যান্ডে পাতাটি সালাদ বা পানিয় তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। শ্রীলঙ্কার রন্ধন প্রণালীতে ও থানকুনি একটি সবুজ পাতার মতো ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশে ভর্তা করে পাতা মাখিয়ে ভাতের সাথে খাওয়া হয়, এবং পেটের যেকোনো সমস্যার জন্য পাতা বেটে পাতার রস খাওয়া হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সৌমিক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url